মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কানাডা থেকে তক্তা আমদানিতে শুল্কারোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার বন্দরের মাধ্যমে মার্কিন কয়লা জাহাজীকরণ নিষিদ্ধ হতে পারে। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টি ক্লার্কের একটি প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন ট্রুডো। গত মাসের শেষ দিকে কানাডা থেকে আমদানিকৃত তক্তার ওপর ২৪ শতাংশ করারোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন সরকারের এ পদক্ষেপে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য বিরোধে যোগ হয় নতুন মাত্রা। যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার রফতানিকৃত তক্তার বেশির ভাগ আসে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশ থেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। অযৌক্তিক এ সিদ্ধান্তের জবাবে কেন্দ্র সরকারকে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টি ক্লার্ক। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাদেশিক সরকার জানায়, গত বছর স্থানীয় বন্দর দিয়ে ৬৬ লাখ মেট্রিক টন কয়লা রফতানি করা হয়। যার ৯৪ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত। শুল্কারোপের জবাবে এত বিপুল পরিমাণ মার্কিন কয়লার জাহাজীকরণ নিষিদ্ধের আহŸান জানান ক্লার্ক। ক্লার্ককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রুডো জানান, প্রাদেশিক সরকারের অনুরোধে স্থানীয় বন্দর দিয়ে মার্কিন কয়লা জাহাজীকরণ নিষিদ্ধের বিষয়টি গুরুত্ব ও যতœ সহকারে বিবেচনা করে দেখছে ওটোয়া কর্মকর্তারা। প্রাদেশিক সরকারের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত সেই চিঠিতে জানা যায়, ক্লার্কের অনুরোধটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য কর্মকর্তাদের বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন ট্রুডো। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্র সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কর্মকর্তাদের পরামর্শ প্রদানের অনুরোধ করেন তিনি। ট্রুডো জানান, লাম্বার পণ্যের ওপর মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যায্য ও শাস্তিমূলক করারোপের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে কানাডা। এত দিন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিরোধকে ছোটখাটো বিষয় বলে এড়িয়ে যান ট্রুডো। সমন্বিত উত্পাদন দ্বারা উভয় দেশ লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে কিছুটা হলেও নিজ অবস্থান পাল্টেছেন ট্রুডো। তবে আগামী সপ্তাহে প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ক্লার্ক বরাবরই এ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি জানান, মার্কিন কয়লা জাহাজীকরণের ওপর কেন্দ্র সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে কয়লা চালানের ওপর কার্বন করারোপ করবে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাদেশিক সরকার। এদিকে ক্লার্কের কয়লা জাহাজীকরণ নিষিদ্ধের প্রস্তাবে কানাডীয় ওয়েস্টশোর টার্মিনালস ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন এবং মার্কিন খনি কোম্পানি ক্লাউড পিক এনার্জির শেয়ার দরে পতন দেখা গেছে। উল্লেখ্য, কানাডার সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, স¤প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন-ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর ওপর করারোপের পাশাপাশি আরো বেশকিছু বাণিজ্যিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছেন ট্রুডো। বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।