রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের বোদার ৬ ইউনিয়ন ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ১৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগে ১২ ও বিএনপিতে ৭ বিদ্রোহী নিয়ে বেকায়দায় দুই দল। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট-
বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব প্রদান ও ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ছিটমহল সীমানা ঘেঁষা ময়দানদিঘী, কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ, বড়শশী ও মাড়েয়া বামনহাট এই ৪টি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চগড় জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহলবাসিদের ভোটার তালিকার আওতায় এনে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সাথে সমন্বয় করে পুর্নঃ ঘোষিত তপশিলে এসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আউয়াল জানান, ইতিমধ্যে পুঠিমারী ছিটমহল ময়দানদিঘী, নাজিরগঞ্জ ও দইখাতা ছিটমহল কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ, শালবাড়ি ছিটমহল বড়শশী ও শালবাড়ি এবং দইখাতা ছিটমহলের কিছু অংশ মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আওতায় এনে ওয়ার্ড বিভক্ত করণ সম্পন্ন করা হয়েছে। গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হলে এসব ইউনিয়নে ভোগ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন ইউপি সদস্য পদে ২০০ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৬৬ জন প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝলইশালশিরি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন সংরক্ষিত আসনে ১১ জন। বেংহারি বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন সংরক্ষিত আসনে ১২ জন। সাকোয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন। পাঁচপীর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন সংরক্ষিত আসনে ৮ জন। বোদা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন সংরক্ষিত আসনে ১১ জন এবং চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন সাধারণ সদস্য পদে ৪১ জন সংরক্ষিত আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৪ জন এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ৫ জন। ঝলইশালশিরিতে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, (আওয়ামী লীগ), সফিকুল ইসলাম (বিএনপি), তহিদুল ইসলাম (আ.লীগ বিদ্রোহী)। বেংহারি বনগ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আবু (আওয়ামী লীগ), আলতাফ হোসেন (বিএনপি), আবুল হাসান (জাতীয় পার্টি), নাজমুল হক (বিএনপি বিদ্রোহী), লুৎফর রহমান (বিএনপি বিদ্রোহী), ফয়জউদ্দীন (বিএনপি বিদ্রোহী)। সাকোয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সায়েদ জাহাঙ্গির হাসান সবুজ (আওয়ামী লীগ), বেনাজির হাবিব আল আলম তপন (বিএনপির), মোজাফফর রহমান (বিএনপি বিদ্রোহী), বাবু প্রমদা বর্মন (জাতীয় পার্টি), দিপক কুমার দে (সিপিবি), রাজিউল আলম প্রধান (স্বতন্ত্র), রাজিব কুমার বকসি (স্বতন্ত্র)। বোদা ইউনিয়নে মশিউর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগের), দেলোয়ার হোসেন (বিএনপি), আবুক্কর সিদ্দিক মহব্বত (বিএনপি বিদ্রোহী), দেলোয়ার হোসেন (আ.লীগ বিদ্রোহী)। চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে মমতাজুল করীম জাহাঙ্গির (বিএনপি), মনিরুল কাদের (আওয়ামী লীগ), তোরাব আলী খান ফুলফুল (জাতীয় পার্টি), মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল (আ.লীগ বিদ্রোহী), বাবু মহানন্দ কুমার (স্বতন্ত্র), মকলেছুর রহমান (স্বতন্ত্র)। পাঁচপীর ইউনিয়নে খায়রুল আলম খান (আওয়ামী লীগের), হাবিবুল আলম (বিএনপি), হুমায়ুন কবির প্রধান (আ.লীগ বিদ্রোহী), হাচিনুজ্জামান চৌধুরী (স্বতন্ত্র)। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ মার্চ এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যাচাই-বাছাই হবে ৫ ও ৬ মার্চ এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ মার্চ। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ, ৪৯ হাজার ৬৩৫ জন। এর মধ্যে পরুষ ভোটার ৭৪ হাজার ৭১০ এবং মহিলা ভোটার ৭৪ হাজার ৯২৫ জন।
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আগামী ৩১ মার্চ শ্রীনগরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বাইরে যারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি তাদের মধ্যে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮ জন ও বিএনপির ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও প্রকৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন অনেকে। মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন- বীরতারা ঃ আজিম হোসেন খান (আ.লীগ), মো. রেজাউল করিম রাজু (বিদ্রোহী আ.লীগ), সিদ্দিকুর রহমান (বিদ্রোহী আ.লীগ), মো. সোহরাব হোসেন (বিএনপি), গাজী শহিদুল্লাহ কামাল ঝিলু (বিদ্রোহী বিএনপি), মো, বাদল মিয়া (জাতীয় পার্টি)। ষোলঘর: মো. আজিজুল ইসলাম (আ.লীগ), মো.জুলহাস উদ্দিন (বিএনপি)। হাঁসাড়া: আহসান হাবীব (আ.লীগ), বাবুল আক্তার মন্টু (বিদ্রোহী আ.লীগ), মো. নাছিরুল আলম পলাশ (বিএনপি), আব্বাস মাঝি (ইসলামী শাসনতন্ত্র), আকরাম হোসেন আজিজ (জাতীয় পার্টি), সোলাইমান খান (স্বতন্ত্র)। বাড়ৈখালী: ইকবাল হোসেন (আ.লীগ), সেলিম তালুকদার (বিদ্রোহী আ.লীগ), মিজানুর রহমান (বিএনপি) আটপাড়া: মো. বিল্লাল হোসেন খান (আ.লীগ), মো. ফজলুর রহমান (বিদ্রোহী আ.লীগ), আ. কাদির ঝিলু (বিএনপি), শামীম আহমেদ (বিকল্প ধারা), আইয়ূব আলী খান (স্বতন্ত্র)। তন্তর: মো. জাকির হোসেন (আ.লীগ), আলী আকবর (বিদ্রোহী আ.লীগ), মো. আনোয়ার হোসেন হৃদয় (বিএনপি), মো. ওসমান মিয়া (ইসলামী শাসনতন্ত্র), হাসান খান (স্বতন্ত্র)। কুকুটিয়া:শেখ আ. কাদির লিটন (আ.লীগ), মোয়াজ্জেম হোসেন (বিএনপি), বাবুল হোসেন বাবু (স্বতন্ত্র), রাজন হোসেন (স্বতন্ত্র), শাকিল আরমান (স্বতন্ত্র)। শ্রীনগর: মোখলেছুর রহমান (আ.লীগ), আশরাফ হোসেন মিলন (বিএনপি), মো. তাজুল ইসলাম (বিদ্রোহী বিএনপি), সিরাজুল ইসলাম (ইসলামী শাসনতন্ত্র)। পাটাভোগ: ফিরোজ আল মামুন (আ.লীগ), আবুল কালাম আজাদ ডাল (বিদ্রোহী আ.লীগ), মো: মহিউদ্দিন মিয়া (বিএনপি)। শ্যামসিদ্ধি : শফিকুল ইসলাম মামুন (আ.লীগ), মো. রতন মিয়া (বিএনপি), এছাক মিয়া (ইসলামী শাসনতন্ত্র)। কোলাপাড়া:নেছার উল্লাহ সুজন (আ.লীগ), কামরুজ্জামান পলাশ (বিএনপি), মো. আসলাম (ইসলামী শাসনতন্ত্র), ঈমাম হোসেন (স্বতন্ত্র)। রাঢ়ীখাল : আ. বারেক খান বারী (আ.লীগ), সোলায়মান খান (বিএনপি), মামুন মিয়া (ইসলামী শাসনতন্ত্র), শামীম খান (স্বতন্ত্র), মোকাজ্জল হোসেন (স্বতন্ত্র), মাসুদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। ভাগ্যকূল : কাজী মনোয়ার হোসেন (আ.লীগ), মনির হোসেন মিটুল (বিদ্রোহী আ.লীগ), মো. ইউসুফ আলী (বিএনপি), আলাউদ্দিন আকন (স্বতন্ত্র), মেহেদী জামান (স্বতন্ত্র)। বাঘড়া: মো. নুরুল ইসলাম (আ.লীগ), মোহাম্মদ আলী (বিএনপি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।