পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এরশাদ দেশের মানুষকে আবার চমক দেখাতে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের সময় একবার চমক দেখিয়েছেন। ওই নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের বি-টীম হিসেবে খেলছে। দলের চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। এখন কারো বি-টীম নয়; নিজেই ৭০টি দলের নেতা হচ্ছেন এইচ এম এরশাদ। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মন্ত্রিসভা থেকে তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বেরিয়ে আনার পাশাপাশি নিজের নের্তৃত্বে রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আগামী ৭ মে দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এই জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে জানা গেছে।
নিজের দলের অবস্থান নিয়ে মে দিবসের আলোচনায় তিনি দুঃখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি পরিচয়হীনতায় ভুগছে।
জাতীয় পার্টি সুত্রে জানা যায়, ৭০ দলীয় জোটের ঘোষণা দেয়ার জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুম ভাড়া নেয়া হয়েছে। গত ৩০ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটে অন্তভূক্ত হতে ৩৪টি দল জোটভুক্ত হয়। ওই সভায় এরশাদ উপস্থিত ছিলেন। আবার লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) ২১টি রাজনৈতিক দল ও আরেক নেতার নেতৃত্বাধীন ১৫ দলীয় যুক্তফ্রন্ট ৭ মে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিবেন। মূলত জোটের সদস্য দল হবে ৭০টি। নতুন জোটের সম্ভাব্য নাম হচ্ছে সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ)। বাংলাদেশ জাতীয় জোট চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ২১টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বিএনএ জোট এরশাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি।
যেসব দল এরশাদের নের্তৃত্বাধীন জোটে থাকছে বলে মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে এবং কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, সেগুলো হলো- গণ ইসলামিক জোট, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টি, জাতীয় শরিয়া আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, ন্যাপ-ভাসানী, খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, ইসলামী গণ-আন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তুল ওলামা পার্টি, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত পার্টি, খেলাফত বাস্তবায়ন পার্টি, ইসলামী আক্বিদা সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী সংরক্ষণ পার্টি, মুসলিম জনতা পার্টি, খেদমতে খালক পার্টি, ওলামা মাশায়েখ সমন্বয় পরিষদ, ইউনাইটেড ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টি, ইসলামী সমাজ কল্যাণ আন্দোলন, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন, বাংলাদেশ খলাফাতুল উম্মাহ, বাংলাদেশ আক্বিমুদ্দিন মজলিস, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জমিয়তুল হেদায়াহ মুভমেন্ট। নিবন্ধন বিহীন এই দলগুলো ৩০ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জোটে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। আবার গতকাল কাকরাইলে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট জোটের এক সভা থেকে এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যোগদানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তফ্রন্ট জোটের শরিক দলগুলো হলো কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), আঞ্জুমানে তরিকতে সাজ্জাদী, নতুনধারা গণতান্ত্রিক পার্টি (এনজিপি), বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক পার্টি (বিডিপি), সম্মিলিত নাগরিক পার্টি, বাঙালি জনতার পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা পার্টি, বাঙালি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, বিশ্বশান্তি মুক্তির গণপরিষদ, বঙ্গপার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক ওলামা পার্টি, প্রগ্রেসিভ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক মুক্তি পার্টি। এ ছাড়াও বেশ কিছুদিন থেকে এরশাদের নের্তৃত্বে জোট করতে তফসিল ফেডারেশন, জাতীয় হিন্দু লীগ, সচেতন হিন্দু পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ কয়েকটি দলের নেতারা বৈঠক করেন। আর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টসহ কয়েকটি দলও এরশাদের জোটে থাকতে পারে বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টির এক নেতা বলেছেন, শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে ১৪ দলীয় জোট, বেগম জিয়ার নের্তৃত্বে ২০ দলীয় জোটের বিপরীতে এরশাদের নের্তৃত্বে ৭০ দলীয় জোট হবে। জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও এরশাদের ভাই জিএম কাদের গতকাল এক টিভি টকশোতে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিকল্প হিসেবে মানুষ জাতীয় পার্টিকেই মনে করেন। সে উদ্দেশ্যে জোট হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, এরশাদের চমক দেখার জন্য জাতি মুখিয়ে আছে। উনি কখন কোন চমক দেখান না হাস্যরসের সৃষ্টি করেন তা বোঝা দুস্কর। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।