Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হায় এরশাদ! রংপুরের পৌর ভোটে লাঙ্গল নেই!!

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
একেই বলে সুবিধাবাদী রাজনীতির পরিণতি! এরশাদের জাতীয় পার্টির এক সময়ের ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত রংপুরে এরশাদ এখন শূন্য। রংপুর জেলার পীরগঞ্জে নবগঠিত পৌরসভার প্রথম নির্বাচনেই লাঙ্গল প্রতীকে কোনো প্রার্থী নেই। নির্বাচনী লড়াইয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি না থাকায় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হয়নি বলে দাবি করছে দলটি। দলের একাধিক নেতা জানান, এরশাদের নাম শুনলেই মানুষ তেড়ে আসে। জনগণের তোপের মুখে পড়তে কে হবে লাঙ্গলের প্রার্থী?
জানা যায়, আগামী ৭ আগস্ট রোববার পীরগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, নাগরিক কমিটির প্রার্থীসহ ৪ জন লড়ছেন। এছাড়া ১০ জন সংরক্ষিত এবং ৪৭ জন সাধারণ সদস্যসহ নির্বাচনে ৬১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পীরগঞ্জে দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেয়া প্রসঙ্গে দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতা সাংবাদিকদের জানান, এরশাদের সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে তার ইমেজ তলানীতে। এ জন্য কেউ প্রার্থী হতে রাজী হননি। নির্বাচনের শুরুতে প্রার্থী হতে কেউ কেউ আগ্রহী হলেও শেষে এসে কেউ আর প্রার্থী হতে চাননি। উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সোলায়মান আলী জানান, পৌরসভা নির্বাচনে যদি দল প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দলের অবস্থা কী হবে তা তো এখনই বোঝা যাচ্ছে। প্রার্থী না হওয়ার বিষয়ে জেলা কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, পৌরসভার এই আসনটি হলো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার এখান থেকে এমপি হয়েছেন। কিন্তু এরশাদের সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে কেউ লাঙ্গলের প্রার্থী হয়ে নিজেকে ‘কালার’ করতে চাচ্ছে না। তবে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব ও সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ সাংবাদিকদের জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজনকে বাছাই করা হলেও শেষমেষ তারা আর কেউ প্রার্থী হতে চাননি। রংপুরের বিশিষ্টজনেরা জানান, এরশাদ যে সুবিধাবাদী এবং মেরুদ-হীন রাজনীতির চর্চা করেন; তাতে কেউ তার সঙ্গে থাকতে চাচ্ছেন না। এরশাদের জনপ্রিয়তায় যে ভাটার টান ধরেছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেখবেন এরশাদের লাঙ্গলের যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
এদিকে জাতীয় পার্টি ছাড়াই পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। প্রার্থীদের প্রচারণার মাইকের শব্দে মাত্র দুই বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই পৌরসভা এলাকা এখন সরগরম। নির্বাচনী পরিবেশ হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা ধরনের গানের প্যারোডি করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের তাজিমুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির শহিদুল ইসলাম (ধানের শীষ), নাগরিক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী লুমুম্বা (জগ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান (নারকেল গাছ)। পৌরসভার ভোটার ১২ হাজার ৯৩৭ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হায় এরশাদ! রংপুরের পৌর ভোটে লাঙ্গল নেই!!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ