মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথক ভূখন্ড খালিস্তানের দাবিতে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের শিখ স¤প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা শিখরাও এ আন্দোলনে শরিক রয়েছেন। কানাডায় বসবাসকারী শিখরা টরেন্টোতে আয়োজন করেন কির্তন ও সমাবেশ। এতে যোগ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিক। কির্তনে ট্রুডোর উপস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্নই ছিল না। কিন্তু এ অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয় স্বাধীন খালিস্তানের পতাকা ও পোস্টার। আর এতেই অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ভারতীয় প্রশাসনে। খালিস্তান আন্দোলনে ট্রুডো ও কানাডা সরকারের সহানুভূতি নিয়ে চরম অস্বস্তিতে ভুগছে মোদি সরকার। কানাডায় প্রতি বছরই এ আয়োজন করেন শিখরা। আমন্ত্রিত হন দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনীতিক-ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ২০০৫ সালে পল মার্টিনের পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীরা এ আয়োজনে অংশ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন। ট্রুডোর পূর্বসূরী স্টিফেন হারপারও এ রীতি মেনে চলেন। কিন্তু ট্রুডো রীতি ভেঙে আয়োজনে অংশ নেন। কানাডার শিরোমানি আকালি দলের (এ) প্রেসিডেন্ট সুখমিন্দর সিং হানসা বলেন, কানাডায় বসবাসকারী শিখরা খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সমর্থন পেয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পথে এটা অনেক বড় একটা অর্জন। অন্টারিওতে বসবাসকারী শিখরা স্থানীয় রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বড় রকমের প্রভাব রাখছেন বলেও তিনি জানান। প্রসঙ্গত, জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে ছিলেন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা। ১৯৮৪ সালে অমৃতসরের ঐতিহাসিক স্বর্ণমন্দিরের ভেতর অভিযানকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানকালে তিনি নিহত হন। এ ইস্যুতে সেসময় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা দেখা দেয়। গত মাসে এ অভিযান ও হত্যাকাÐকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে কানাডার অন্টারিও রাজ্যের পার্লামেন্ট। এ বিষয়ে বিরোধ দেখা দেয় ভারত সরকারের সঙ্গে। দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্কে খালিস্তান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দূরত্বের সময়ই ট্রুডো কানাডায় বসবাসকারী শিখদের ধর্মীয় আয়োজনে অংশ নিলেন। সেখানে আবার স্বাধীন খালিস্তানের পতাকা দেখানো হল। খালিস্তানের পক্ষে কানাডার রাজ্য পার্লামেন্টের প্রস্তাব উদযাপন করা হল। কাজেই এ বিষয়ে ভারত সরকার অস্বস্তিতে ভুগবে এটাই স্বাভাবিক। হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।