Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীরসরাইতে প্রকাশ্যে স্বর্ণ লুট নিয়ে আজো আতঙ্ক কাটেনি ব্যবসায়ীদের

ভিডিও ফুটেজ সূত্রে মামলার অগ্রগতি দাবি

প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট বাজারে প্রকাশ্যে ৩শ’ ভরি স্বর্ণ লুট নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কাটেনি আজো আতঙ্ক। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিল্মী কায়দায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার ৭ দিন পর গতকাল (বৃহ¯প্রতিবার) পর্যন্ত ও ঘটনার রহস্য কতো উম্মোচিত হল। মামলার অগ্রগতি ও কতোটুকু হলো জানতে পারেনি কেউ। অথচ পুলিশ ও সিআইডি সহ বারইয়াহাটের পৌর মেয়র ভিপি নিজাম বলেছিলেন ১ সপ্তাহের মধ্যেই উম্মোচিত হবে ঘটনার সকল রহস্য।
আর তাই বারইয়াহাট বাজারের ব্যবসায়ী মহলে এখন উৎকন্ঠা ও উদ্বিগ্নতা বেড়ে গেছে আরো কয়েক গুন। তবে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ এই বিষয়ে জানান ইতিমধ্যে মামলার অগ্রগতি অনেকদুর এগিয়েছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আমরা সব প্রকাশ করছি না। খুব শীঘ্রই আসামী সহ সকল বিষয়ই তুলে ধরা হবে সকলের কাছে।
উক্ত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার মামলার বাদী  শাহাবুদ্দীন কোম্পানী গতকাল ( ৩ মার্চ) অশ্র“সজল নয়নে বলেন এক সপ্তাহ হয়ে গেল আমার কোটি টাকার স্বর্ণ দোকানের মালামালের কোন সন্ধান পেলাম না। অথচ সবাই আশ্বাস দিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই দোকানে থাকা ভিডিও ফুটেজ থেকেই সব বেরিয়ে যাবে। তিনি বলেন এতো সিআইডি, এতো র‌্যাব, পুলিশ এলো কিছুই তো এখনো হলো না।
এক পর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলে বলেন এই মালামাল না পেলে ২৫লক্ষ টাকার কর্জ আমি পরিশোধ ও করতে পারবো না। পথেই বসতে হবে আমাকে ছেলে মেয়ে নিয়ে। বারইয়াহাট বাজার জুয়েলারি বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন পেয়ার বলেন একের পর এক এমন ঘটনায় এখন আর কোন ব্যবসায়ী স্বাভাবিক হতে পারছে না। সবার মধ্যেই এখন যে কোন মুহুর্তে যে কোন ঘটনা নিয়ে আতংক বিরাজ করছে। যদি এই অপরাধিরা ধরা না পড়ে এই অঞ্চলের এই প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র বারইয়াহাটে স্বস্থি ফিরে আসবে বলে আর মনে হয় না।
তিনি বলেন এর আগেও বেশ কয়েক দফা এখানকার কয়েকটি স্বর্ণ দোকান লুট হওয়ার ঘটনায় পুলিশের দেওয়া আশ্বাস ও আর আলোর মুখ দেখেনি। তাই বারইয়ারহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বাসের ওপর অতটা ভরসা করতে পারছেনা।
এদিকে ঘটনার পরদিন সকাল থেকে বারইয়ারহাট শামীম জুয়েলার্স পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি সীতাকুন্ড সার্কেল) সালাউদ্দিন শিকদার, জেলা সিআইডি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল হামিদসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাব ৭ এর ফেনী ক্যাম্পের কর্মকর্তারা।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে লুট যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধারের আশ্বাস দেন।  
গতকাল এই বিষয়ে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত ঘটনার তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আমরা অনেক তথ্য এই মুহুর্তে জানাতে পারছি না। তবে খুব শীঘ্রই আমরা ঘটনার শেষ প্রান্তে উপস্থিত হচ্ছি। শীঘ্রই সাংবাদিকদের ও তিনি সকল বিষয় জানাতে পারবেন বলে ও আশা প্রকাশ করেন।  



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মীরসরাইতে প্রকাশ্যে স্বর্ণ লুট নিয়ে আজো আতঙ্ক কাটেনি ব্যবসায়ীদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ