পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী ধারার লেখকদের নবী রসূলগণের জীবনী ও কর্মবিষয়ক লেখাসহ ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠনমূলক লেখা বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ ও পুনঃস্থাপনের দাবি ছিলো এদেশের মুসলমানদের সামষ্টিক দাবি। এ দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী ওলামা লীগসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কিন্তু স¤প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক হেফাযতের দাবির ধোয়া তুলে পুনঃসংযোজিত বিষয়গুলো আবারো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো কেবল হেফাযতের দাবির বিষয় নয়, বরং এদেশের সকল মুসলমানদের ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়। তাই পাঠ্যপুস্তক থেকে হেফাযতের নামে ইসলামী প্রবন্ধ, কবিতা বাদ দেয়ার ইসলাম বিরোধী কোন উদ্যোগ বরদাশত করবে না আওয়ামী ওলামা লীগসহ দেশের ধর্মপ্রাণরা।
গতকাল এক বিবৃতিতে আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আল্লামা আখতার হোসেন বুখারী, কার্যকরি সভাপতি হাফেজ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী ধারার লেখা পুনঃসংযোজনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে বিতর্কিত বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে ইসলামী ধারার লেখাসমূহ পুনঃস্থাপনের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু চক্রান্তকারীরা পুনঃসংযোজিত বিষয়সমূহকে হেফাযতের দাবির কথা বলে শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্রয়ে পুনরায় পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন পুনঃসংযোজিত বিষয়গুলি নিয়ে যেকোন চক্রান্তের বিরুদ্ধে আবারো কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এবং শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণের দাবী তুলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি পেশ করা হবে। এবারের আন্দোলন হবে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে রাম-বাম ও সহযোগিদের সমূলে উৎখাতের এবং এদের নাম ও পদবীসহ এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তাই শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আমাদের বক্তব্য হচ্ছে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় থাকতে হবে ইসলাম ধর্মভিত্তিক লেখা। ইসলামী জনতার দাবী অনুযায়ীই তা হতে হবে। কোন রাম বামের প্ররোচনায় নয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষানীতি ও সিলেবাসে প্রত্যেক ধর্মের জন্য তাদের স্ব স্ব ধর্মের জন্য পৃথক পৃথক পাঠ্যবই পাঠ্যভুক্ত করতে হবে। কোন ধর্মীয় বিষয়েই অন্য ধর্মের ছাত্রছাত্রীদের প্রভাবিত করার কোন ব্যবস্থা বরদাশত করা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।