Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে একমত

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এক টেলিফোন কথোপকথনে সিরিয়ায় যুদ্ধ নিরসনে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে একমত হয়েছেন। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। বিবিসি। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার দুর্দশা সকল সীমা পেরিয়ে গেছে, আর সেখানে সহিংসতা বন্ধে সব পক্ষের অংশগ্রহণে তাদের করণীয় সবকিছু করতে হবে বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন একমত হয়েছেন। অন্তরঙ্গ আলোচনায় সিরিয়ায় মানবিক সহায়তার জন্য একটি নিরাপদ বা সংঘাতমুক্ত অঞ্চল গঠনের বিষয়টিও উঠে আসে। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, শক্তিশালী অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কাজ করতে একমত হয়েছেন দুই নেতা। সিরিয়ায় একটি প্রকৃত সমাধান কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তারা। প্রায় এক মাস আগে সিরিয়ায় মার্কিন জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কে অবনতি ঘটে। ওই ঘটনার পর এবারই প্রথম দুই নেতার মধ্যে সরাসরি কথা হলো। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার কথোপকথন ছিল খুবই অন্তরঙ্গ। তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এবং সামনাসামনি বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামী জুলাইয়ের প্রথমদিকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে হামবুর্গে যাবেন ট্রাম্প ও পুতিন। সেখানে তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে বলেও আলোচনা হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেলিফোন কথোপকথনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, কোরিয়া উপদ্বীপের ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভøাদিমির পুতিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং উত্তেজনা কমিয়ে আনার আহŸান জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়েও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। গত শনিবার ভোরে পিয়ংইয়ংয়ের উত্তর দিকের দক্ষিণ পিয়ংগান এলাকার একটি ঘাঁটি থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয় বলে দক্ষিণ কোরীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া চালানো হয়। এতে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম দুটি মার্কিন বি-১বি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, বিমানগুলো উত্তর কোরিয়ার প্রধান স্থাপনাগুলোতে পারমাণবিক বোমা ফেলার মহড়া দেখিয়েছে। ওই সামরিক মহড়ার পর এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। উল্লেখ্য, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে কোরিয়া উপদ্বীপে পাঠানোর ঘোষণার পর শুরু হওয়া যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিনের উপস্থিতি। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ইউএসএস মিশিগান গত মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছায়। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ