মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক যুদ্ধের প্রান্তে ঠেলে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছে উত্তর কোরিয়া। গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে মহড়া দিতে দুটি মার্কিন বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার এ অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুটি সুপারসনিক বি-১বি ল্যান্সার বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুন সাং গিয়ুন জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার উস্কানি ও আরেকটি সম্ভাব্য পারমাণবিক পরীক্ষা থেকে দেশটিকে বিরত রাখতে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নিতে বোমারু বিমান দুটি গুয়াম দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছে। উত্তর কোরিয়া বলেছে, বোমারু বিমানগুলো তাদের এলাকায় বড় ধরনের স্থাপনায় পারমাণবিক বোমা ফেলার মহড়া দিয়েছে; এমন এক সময় এ মহড়া চালানো হল যখন ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যুদ্ধবাজরা আগ বাড়িয়ে উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলা চালানোর জন্য ক্রন্দন শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, বেপরোয়া এই সামরিক উস্কানি কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে একটি পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোরীয় উপদ্বীপজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও একমাত্র ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের চাপ অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়া ষষ্ঠবারের মতো পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে এমন ধারণা থেকে সৃষ্ট উদ্বেগ উত্তেজনায় রূপ নিয়েছে। শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক পরীক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা থেকে বিরত রাখতে কোরীয় উপদ্বীপের নৌসীমায় বিমানবাহী রণতরীসহ নৌবহর পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী থাড সিস্টেম মোতায়েন করেছে। এতে যে কোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।