Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দ.কোরিয়ায় সচল হলো থাড ক্ষেপণাস্ত্র

পুরোপুরি কার্যকর করতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্য টার্মিনাল হাই-অলটিচুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা। এখন থেকে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলা করতে পারবে এটি। তবে ব্যবস্থাটি পুরোপুরি কার্যকর করতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বারবার হুমকি, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং মার্কিন রণতারী ও সাবমেরিন মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে কোরীয় উপদ্বীপে চলছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপন করল যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে কিছুটা নমনীয় করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার হুমকি দিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। জবাবে কোরীয় উপদ্বীপ এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন। এর আগে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে বলেছি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাড মোতায়েনের পুরো খরচ তাদেরই দেয়া উচিত। এর খরচ প্রায় ১০০ কোটি ডলার। এটার কার্যক্ষমতা অসাধারণ। আকাশে থাকা অবস্থায় শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ দিয়েছে সিউল। সেক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা মোতায়েন রাখার খরচ যুক্তরাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নিন্দা জানিয়েছেন মুন জায়ে-ইনও। পরবর্তী প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানান তিনি। উদ্বেগ জানিয়েছে চীনও। তবে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, এখন ওই থাড ব্যবস্থাটি শুধু প্রাথমিকভাবে কাজ করতে শুরু করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ পুরোদমে কার্যকর হবে। গত শনিবার ভোরে পিয়ংইয়ংয়ের উত্তর দিকের দক্ষিণ পিয়ংগান এলাকার একটি ঘাঁটি থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয় বলে দক্ষিণ কোরীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক যৌথ সামরিক মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে মার্কিন যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমার খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেছে বলে জানা গেছে। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ