Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়িতে মাদক রেখে বিপুল অর্থ আদায়ের অভিযোগে গোদাগাড়ীর ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোদাগাাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাড়ীতে মাদক রেখে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ে অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। ওই ৪ জনের মধ্যে ১ জনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে অপর ৩ জনকে ভিন্ন ভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি গোদাগাড়ীর টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
গত কয়েক মাস থেকে পুলিশের কথিত অভিযানে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। রেহায় পায়নি যুবলীগ নেতা, ইটভাটার শ্রমিক, সাধারণ মানুষ। বিষয়গুলো নিয়ে গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু একাধিক ওসির সাথে কথা বলে কোন লাভ হয়নি।
গত ২০ এপ্রিল রাতে উপজেলার প্রেমতলী এলাকায় জৈনক রবিউল ইসলাম ফিটুর বাড়ীর ঘরের মধ্যে ইয়াবা ফেলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এসআই করিম, এসআই লাতিফ, এএসআই রুবেল ও এএসআই রাজিব। এ নিয়ে জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিতে আসলে গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে এসআই করিমকে যুগিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি, এসআই লতিফকে মুন্ডমালা ও এএসআই রুবেলকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে এবং এবং এমসআই রাজিবকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। উল্লেখ্য স্থানীয় দৈনিক ও অন লাইন কয়েকটি পত্রিকায় গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কথিত অভিযান লাখ লাখ টাকা বখরা আদায়ের সংবাদ প্রকাশ হয়। এ বিষয়টি গোদাগাড়ী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় থানা পুলিশের সাথে মাদক কিছু ব্যবসায়ীদের সখ্যতা ও কথিত মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ তুলে বক্তব্য প্রদান করেন গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের গোদাগাড়ী প্রতিনিধি আব্দুল বাতেন। তিনি ওসি হিফজুল আলম মুন্সির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির স্বীকার না সে দিকে নজর দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ওই সময় ওসি তার বক্তব্যে গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক নেতাদের তদবির করার জন্য মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান সফল হচ্ছে না বলে দাবি করেন। পুলিশ এতটা বখরা আদায়ে ব্যস্ত যে সাধারণ টলি চালক, শ্রমিক তাদের কাছ থেকেও রেহাই পায়নি গত বুধবার টলিচালক ও নূরি ইটভাটার শ্রমিক শরিফুল ইসলাম মহিশালবাড়ীতে রাতে তার বাড়ীর সামনে গোসল করার জন্য বসে ছিল এমন সময় মডেল থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক সিভিল পোশাকে এসে তাকে বলে তোর চোখ কেন লাল, গায়ে কেন কাদা তুই থানায় চল বলে হ্যান্ড পরিয়ে থানা নিয়ে চেষ্টা করে এবং বখরা দাবি করেন। পরে খরব পেয়ে শতাধিক লোক জমা হতে এর প্রতিবাদ জানালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে গত ১২ এপ্রিল রাজশাহী-১ আসনের এমপি, সাবেক সফল শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী আফিসে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি হিপজুল আলম মুন্সিকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেন এবং বলেন যে আপনার পুলিশ সব সময় মোফা কাউন্সিলার এর অফিস পাহারা দেন। কারণ কি? এ সময় মোফা অকথ্য ভাষায় বলেন, শরিফুলসহ থানায় ১শ’ ৩২টি দালাল বাস করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা বখরা আদায় করে। তখন আমি একাই দালাল ছিলাম। আমি আর দালালী সনদ নবায়ন করিনি এমন কি থানায়ও যায় না। এমপি সাহেব ওসিকে নির্দেশ দেন মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ জাতি সমাজের শত্রæ, এদের কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না। পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে রাতে টীম নিয়ে হানা দেন ৩/৭ লাখ টাকা বখরা দাবি করে করেন না দিতে ইউপি সদস্য জৈনক মাদক সম্রাট শরিফুল কে জামিনদার করে পুলিশ বাড়ী ত্যাগ করেন পরদিন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে জামিনদারদের ওই মাদক সম্রাট শরিফুলের নিকট পৌঁছে দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাড়ি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ