পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি এখন জাতীয় নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে : তারা হেফাজতকে দিয়ে আরেকটি শাপলা চত্বর তৈরি করতে চেয়েছিল : ২০ মে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। অবৈধভাবে অর্জিত টাকা-পয়সা থাকবে না। ক্ষমতায় না থাকলে টাকা নিয়ে পালিয়ে থাকতে হবে। সরকার ক্ষমতা হারালে নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। তাই সময় থাকতে অবৈধভাবে উপার্জন করা অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করুন। গতকাল (শনিবার) নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অবৈধভাবে অর্জন করা অর্থ-সম্পদ দিয়ে কি করবেন, দল যদি ক্ষমতায়ই না থাকে। দলকে ক্ষমতায় রাখতে এবং আগামী নির্বাচনে যাতে আওয়ামী লীগ আবারও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারে, এর জন্য সকল অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করুন। তিনি বলেন, দেশের টাকা লুট করে উন্নয়ন বন্ধ করে মানুষের মন জয় করা যায় না। সরকার যদি দেশের মানুষকে ভালোবেসে একের পর এক উন্নয়ন করে যায়, তাহলে জনগণ সেই সরকারকে বারবার দেশ শাসনের সুযোগ দেয়। কাজেই দেশের উন্নয়নখাত থেকে কিছু লুট করে বড়লোক হওয়ার লালসা করবেন না। কারণ সেই অর্থ ভোগ করতে হলে আপনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। আর এই লালসার ফলে আপনার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে আপনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। সভায় তিনি তথ্য প্রকাশ করেন, আগামী ২০ মে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জেলা ও মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাথে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন সদস্য নেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে দলে পরগাছা না ঢুকে।
সভায় ওবায়দুল কাদের বিএনপির কঠোর সমালোচনার সাথে তিনি বিএনপিকে জাতীয় নালিশ পার্টি হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি এখন জাতীয় নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাজ হলো শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, সারাবিশ্বের মোড়লদের দরবারে-দরবারে গিয়ে নালিশ পেশ করা। হিলারি বা নরেন্দ্র মোদি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না। ক্ষমতার উৎস জনগণ। ক্ষমতায় বসাতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। এতকিছু করার পরও তারা প্রতি পদে পদে ব্যর্থ হচ্ছে। তার প্রমাণ হলো কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া আমেরিকান নির্বাচনকে ঘিরে তাদের ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। তারা ভেবেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন সফল হলো না। এর আগেও ভারতের নির্বাচনকে নিয়েও তাদের ছিল উৎসবমুখর মাতামাতি। কিন্তু তাদের দেয়া সব নালিশ একে একে ভেস্তে গেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে দলটির নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, পরের দেশে ভিক্ষা না চেয়ে নিজের দেশের জনগণের কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসেন। আর তাতে জনগণ আপনাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকালে ক্ষমতায়ও আসতে পারেন। সুতরাং সহিংসতা বন্ধ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।
ওবায়দুল কাদের হেফাজতের সাথে আওয়ামী লীগের জোট বাঁধার বিষয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াত হেফাজতকে দিয়ে সামনের ৫ মে আরেকটি ‘শাপলা চত্বর’ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার কৌশলের কাছে তাদের সে স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। সরকার কওমি মাদরাসার সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে। হেফাজতের সাথে কোনো চুক্তি বা জোট করেনি। স্বীকৃতি দেয়া আর জোট করা এক কথা নয়। কওমি শিক্ষাব্যবস্থাকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, শফী হুজুর নিজেই তো বললেন, জঙ্গিবাদ ইসলাম সমর্থন করে না। আমাদের প্রধান শত্রু জঙ্গিবাদ। আমরা দেশের স্বার্থ ঠিক রেখে প্রতিবেশী দেশের সাথে বন্ধুত্ব করি।
প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. ইসহাক মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এতে মহানগরের আওতাধীন ১৫ থানার প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। প্রতিনিধি সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং আ জ ম নাছির সমর্থিতদের মধ্যে সম্ভাব্য গোলযোগ এড়াতে সভাস্থলে ও আশপাশে পুলিশ কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলে। প্রতিনিধি কার্ড ছাড়া কাউকে সভাস্থলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তবে সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিনিধি সভা সম্পন্ন হওয়ায় নেতাকর্মী সমর্থকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। সভাস্থলে সকাল থেকে শেষ হওয়া অবধি ছিল নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। সেখানে পরস্পর হাস্যোজ্জ্বল ও আনন্দমুখর পরিবেশে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী এগিয়ে এসে ওবায়দুল কাদেরকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান, পরস্পর সালাম বিনিময় করেন।
সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রæ আওয়ামী লীগ হলে কিছু করার নেই। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সুযোগের অপেক্ষা করছে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা নিয়ে চট্টগ্রামে কি হচ্ছে এ নিয়ে সবার কৌতুহল ছিল। অনেকেই মনে করেছেন রণক্ষেত্র হবে। তারা অসাধ্য সাধন করেছেন ভাবতে পারিনি। চট্টগ্রাম ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। চট্টগ্রাম ঐক্যবদ্ধ থাকলে সারাদেশ ঐক্যবদ্ধ থাকার চেষ্টা করবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় এ চট্টগ্রাম থেকেই। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ছয় দফা এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেম নির্মাণ চট্টগ্রাম থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তিনি বলেন, নেত্রী আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিভাগকে সম্মানিত করেছেন। এটি এ অঞ্চলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের স্বীকৃতি। যে পদ পেয়েছি এর উপরে আর কোনো পদ চাওয়া-পাওয়ার নেই। এখন থেকে দলকে দেয়ার পালা। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। নেতাদের ভুল হতে পারে, কর্মীরা আমার ভুল শোধরে দিলে মেনে নেব। মাঝে মাঝে আমারও ভুল হয়ে থাকে। ভুল হয়ে থাকলে আমি নিজে সংশোধন হই। আমার আশেপাশের লোক অপকর্ম করলে এর দায় আমি অস্বীকার করতে পারব না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
আধুনিক আওয়ামী লীগ হিসেবে আগামীতে নির্বাচনে যেতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, দলে খারাপ লোকদের আনবেন না। দুঃসময়ে এরা থাকবে না। নকলের ভিড়ে আসল যেন হারিয়ে না যায়। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, চাটুকার ও মোসাহেবরা জঙ্গিদের চেয়ে ভয়ঙ্কর। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ নাকি লুটপাট করছে। তাদের অন্তরে জ্বালা। তারা লুটপাট করার জন্য ক্ষমতায় আসতে চায়।
মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে। নাছির (সিটি মেয়র) আপনার ছেলের মতো। সে কোনো ভুল করলে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে শাসন করতে পারেন। আপনি মুরুব্বির ভ‚মিকা পালন করলে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দরকার নেই। আপনি আমারও মুরুব্বি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ সাড়ে ১৬ বছর আমরা দেশ শাসন করেছি। অন্যরা ৩০ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মতো তারা ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারেনি। শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বের পর্যায়ে চলে গেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। সকল দ্ব›েদ্বর অবসান ঘটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিগত আট বছরে ব্যাপক উন্নয়ন করে শেখ হাসিনা বিশ্বে আলোচিত হয়েছেন। তিনি বিশ্ব নেত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিএনপি পাকিস্তানের এজেন্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে সেজন্য আওয়ামী লীগ দায়ী নয়।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রতিনিধি সভার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আগামীতে দলকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
সিটি মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পানিবদ্ধতা সমস্যা নিরসনসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের সহযোগিতা ও সমর্থন পেলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে।
প্রতিনিধি সভায় তৃণমূল নেতারা বলেন, আমরা আর বিভাজন চাই না। আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। মহানগর কমিটিতে যারা বিভাজন সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি তারা আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন এম এ লতিফ এমপি, সাবিহা নাহার বেগম এমপি, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, জহিরুল আলম দোভাষ, রেজাউল করিম চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে প্রতিনিধি সভার চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমাহিলস্থ বাসভবনে যান এবং সেখানে দু’জনে একসাথে রাতের খাবার সারেন। প্রতিনিধি সভা সামনে রেখে গত এক সপ্তাহে নগর আওয়ামী লীগের এ দুই শীর্ষ নেতা নিজেদের মধ্যে বিরোধ-বিবাদ মিটিয়ে ফেলেন। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে তৃণমূলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।