মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকির পরও দেশটির সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রয়োজন হলে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না ওয়াশিংটন। চলমান যুদ্ধাবস্থার মাঝে এ ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে ফেরাতে গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ বৈঠক ডাকে যুক্তরাষ্ট্র। এতে টিলারসন সংকট নিরসনে সদস্য দেশগুলোকে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি চলমান নিষেধাজ্ঞা জোরদারের মাধ্যমে দেশটিকে বিচ্ছিনড়ব করার নীতি এগিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার হুমকি পুরোপুরি বাস্তব। তবে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের সময় এসেছে। কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে কূটনৈতিক উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র রাজি আছে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, তবে প্রয়োজন হলে সামরিক পদক্ষেপ নিতেও মার্কিন প্রশাসন দ্বিধা করবে না। সব বিকল্পই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
টিলারসন চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের চলমান নিষেধাজ্ঞা জোরদারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিনড়ব করা ও নিষেধাজ্ঞা জোরালো করা দেশটিকে পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে ফেরানোর একটা কূটনৈতিক পন্থা হতে পারে। চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। বাণিজ্যের অর্থ পারমাণবিক কার্যক্রমে ব্যয় করে পিয়ংইয়ং। গত ২৭ এপ্রিল এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা অবশ্যই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান বিরোধের কূটনৈতিক সমাধান চাই। আমি মনে করি তিনি (কিম জং উন) যৌক্তিক হবেন। আর এখানে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে হতে যাওয়া এক বিশাল সংঘাত এড়ানোর পথ অবশ্যই আছে। এক্ষেত্রে চীনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে ট্রাম্পের মত। কূটনৈতিক পদ্ধতিতে চলমান সংকট সমাধানে টিলারসনের আহ্বানের জবাব সামরিক পদ্ধতিতে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। টিলারসনের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। গত শুμবার ভোরে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় দক্ষিণ পিয়ংগান এলাকার একটি সেনা ঘাঁটি থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তবে এটি ঠিক কত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত নয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।