মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অর্থ পাচারের অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলটির ১২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইডি এ মামলা দায়ের করল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, বিজেপি সরকারের নির্দেশে সিবিআই তার দলের নেতাদের টার্গেট করেছে। নারদ স্টিং অপারেশন নামে পরিচিত ভিডিও টেপে ধারণকৃত দৃশ্যের জের ধরে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারিত ওই ভিডিও দৃশ্যে রাজ্য সরকারের কয়েক মন্ত্রী এবং তৃণমূলের বেশ কয়েক বিধায়ককে অর্থগ্রহণ করতে দেখা যায়। নারদনিউজ নামের একটি ওয়েবসাইটে ওই ভিডিও প্রচার করা হয়। রাজ্যসভা সদস্য মুকুল রায়, লোকসভা সদস্য সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়সহ তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার নামে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং আইনে (পিএমএলএ) মামলা করেছে ইডি। ১৮ এপ্রিল মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এর একদিন আগে সিবিআই তৃণমূলের ১২ নেতার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে মুকুল রায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার ও অন্যান্য তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অপরাধের ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিতা মাত্রে ও বিচারপতি টি চক্রবর্তীর বেঞ্চের নির্দেশক্রমে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই। মামলার এজাহারে ইডি বলেছে, অপরাধে অর্জিত অর্থেব বিষয়ে আরো তদন্ত করা হবে এবং আসামিদের শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে নারদনিউজের সিইও ম্যাথিউ স্যামুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এ সময় তার কাছে সংবাদ মাধ্যমটির স্টিং কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে নারদনিউজের স্টিং কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালত সিবিআইকে কথিত অপারেশনের সব নথিপত্র ও যন্ত্রাদি জব্দেরও নির্দেশ দেন। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাকে প্রতিহিংসামূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, মমতা ব্যানার্জি বিজেপি আতঙ্কে ভুগছেন। তিনি সবখানেই বিজেপিকে দেখতে পান। এর আগে বুধবার এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি। টেলিভিশনে দেখা গেছে, তারা অর্থ নিচ্ছেন। পিটিআই, ডিএনআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।