বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শ্রীকুটা-মুড়ারবন্দ সড়কের খোয়াই নদীর উপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ দীর্ঘ ১১ বছরেও সম্পন্ন হয়নি। সেতুর উপরের ছাদ ও ভীম নির্মাণ হলেও সেøাপ ও র্যালিং নির্মাণ এখনো হয়নি। এছাড়া উভয় পাশের সংযোগ রক্ষার কাজও সমাপ্ত করা হয়নি। ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এ সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
ভারত থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা খোয়াই নদীটি কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণকে দু’ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। চুনারুঘাট উপজেলাকে খোয়াই নদীর পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল বলে আখ্যায়িত করা হতো। সেতুটি নির্মিত হচ্ছে দেখে মানুষের মাঝে যোগাযোগে ক্ষেত্রে আশার সঞ্চার হয়েছিল যে, সেতুটি নির্মাণ হলেই যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু ১১ বছরেও সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়নি। চুনারুঘাট এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের শেষের দিকে ওই সড়কে খোয়াই নদীর উপরে সেতুর কাজ শুরু করা হয়। মাত্র দুটি প্যান নির্মাণ হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের প্রথম দিকে ঢাকার মেসার্স আজাদ এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দরপত্র গ্রহণ করে কাজ শুরু করে। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ শেষ করলেও স্পোপিং ও র্যালিংয়ের কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি। এলাকার জনসাধারণ সেতুটি নির্মাণ শেষে উদ্বোধনের প্রতিক্ষায় রয়েছেন।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রাসেদুল আলম বলেন, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্রীকুটা-মুড়ারবন্দ সড়কে খোয়াই নদীর উপর সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। পূর্বের ঠিকাদারের অর্থ ব্যয়ের হিসাব আমার জানা নেই। তবে দেড় কোটি টাকার টেন্ডারে এ কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে মেসার্স আজাদ এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। কাজ শেষ হলেই সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। স্থানীয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান বলেন, চারদলীয় জোট সরকার এ সেতুর কাজ শুরু করেছিল। বর্তমান সরকার এ সেতুর বাকি কাজ দ্রুত শেষ করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে আমরা আশা করছি। সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে সাটিয়াজুরি, রানীগাও, চুনারুঘাট সদর, মিরাশী এবং উবাহাটা ইউনিয়নের জনসাধারণের যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন দ্বারউন্মোচন হবে। এছাড়া ওই এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য জেলাসদরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে ক্রয় বিক্রয় করা সহজতর হবে। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ বঞ্চিত পূর্বাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়নের মানুষ যোগাযোগ ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তাই অধীর আগ্রহে ওই এলাকার মানুষ চেয়ে আছে ব্রিজটি সম্পূর্ণ নিমাণ ও উদ্বোধনের দিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।