Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি হাওরে গিয়েছিল ফটোসেশন করতে -ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাওর অঞ্চল পরিদর্শনে না যাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি একদিনের জন্য হাওড় অঞ্চলে ফটোসেশন করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এসে তারা এটা নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে। হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য বিএনপির নেতাদের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ  জামালের  ৬৪তম  জন্মদিন উপলক্ষে বনানীতে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কেন হাওর অঞ্চলে গেলেন না। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই আপনাদের নেত্রী কেন আগে গেলেন না। শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন, এইসব দূর্যোগে সবার আগে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সব দূর্যোগে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তখনকার সময় (বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে) দূর্গত এলাকায় দিনের পর দিন কাটিয়েছেন। এখন তিনি সরকার প্রধান হিসেবে আছেন, ওখানে যাওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি ওখানে কতটা দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার দল কিভাবে রেসপন্স করেছে, প্রধানমন্ত্রীর কাজ আছে একটা সময় বাঁচিয়ে ওখানে যেতে হবে। সেটা তিনি করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী দলে আছেন, তার কিসের কাজ? তিনি কেন যাননি?
আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীরা হাওর এলাকায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন দাবি করে কাদের বলেন, আমাদের পার্টির লোকেরা, মন্ত্রী, এমপিরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
অতিবৃষ্টির কারণে এবারে দূর্যোগ হয়েছে দাবি করে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকট যেটা সৃষ্টি হয়েছে সেটা মূলত অতিবৃষ্টির কারণে। আর এই অতিবৃষ্টি থেকেই সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে।
ভবিষ্যতে হাওর অঞ্চলের এমন দূর্যোগ যাতে না হয় এজন্য সরকার দ্রæত পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে কাদের বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পূনরাবৃত্তি আর না ঘটে এজন্য আমাদের শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কিভাবে এই ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে এর বিজ্ঞান সম্মত পরিকল্পিত ব্যবস্থা করছে সরকার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডিতে সপরিবারে নিহত হন। দিনটি উপলক্ষে বনানীতে শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ওবায়দুল কাদের ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ  মোনাজাত করেন।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ২:২৩ পিএম says : 0
    হাঁ মন্রী মহোদয় বিরুধী বা বিএনপি রা ফটোসেশন জন্য গিয়েছিল। আর সরকারী দল ও ঐ খানে সিনেমার নৃত্য করছিল। হয়ত নৃত্য করার জন্য ই আপনার কাউয়ার দল, বাধের টাকা খেয়েছে। এমতাবস্থায় মনে হলো বিশ্ববিদ্যালয় কালীন সময়ের কথা। বটতলাসহ পুরু ক্যান্পাস এরশাদবিরুধী সভা সমাবেশ। আবার আমরা ক্লাস ও করছি। আওয়াজে কুদ্দস( মার্কেটিং) স্যারের লেকসার শুনতে বিঘ্ন হচ্ছে। তাই আমরা ছুটির জন্য স্যারকে বললাম। স্যার হাস্য সুরে নোয়াখালীর ভাষায় বললো, ছুটি ন অইব। দেশে বন্যা অয়েছে। অভাব অইব। রাজনিতীবিদদের শক্তি বাইরা গেছে। রাজনিতীবিদরা ফটু তুলব, বড় গলায় হতি দিনই কথা বলব। তাই আমরা বসে থাকলে অইব না। ক্লাস শেষ করে, পরীক্ষার কাজ শেষ করতে অইব। আজ এত দিন পর দেখলাম কুদ্দুস স্যারের কথা ১০০% সত্য। যা ওবায়েদুল ভাই( তিনি ঢাঃবিঃ ছাত্র আমি ও এক বিঃ ছাত্র, তাই ছোট ভাই এর দাবী নিয়ে বলছি) আনন্দ মনে সমর্থন করল। আমার মনে হয়, আমাদের ঐ ক্লাশের সময় ওবাদুল ভাই ক্যান্পাসে বক্তিতা রত ছিল। হয়ত কুদ্দস স্যারের কথা চুপে চুপে শুনছিল। তাই ত ওবাদুল ভাই রাজনিতীর এই ধারা আজ ও ঠিক রাখলো। ধন্যবাদ।সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ