পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে কোনো কোম্পানিকে সর্বনিম্ন ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে। অর্থাৎ অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে কমপক্ষে তিন কোটি শেয়ার বিক্রি করতে হবে। ফিক্সড প্রাইস (অভিহিত মূল্য) পদ্ধতির ক্ষেত্রে এ শর্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কোনো কোম্পানি বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় (প্রিমিয়ামসহ) বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে কোম্পানিকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ৬০৩তম কমিশন সভায় পাবলিক ইস্যু রুলস’ ২০১৫ সংশোধনের মধ্যে দিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে শর্ত হিসাবে আরো বলা হয়, আইপিওতে কোনো এলিজিবল ইনভেস্টর তাদের কোটার ২ শতাংশ সিকিউরিটিজ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে, আবেদনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে আনুপাতিক হারে সিকিউরিটিজ বরাদ্দ পাবে।
এছাড়াও স্পন্সর, ডাইরেক্টর এবং ১০ শতাংশের অধিক শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষেত্রে ৩ বছরের লক-ইন এবং অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত শেয়ারের উপর ১ বছরের লক-ইন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে কোনো কোম্পানিকে আইপিও প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের শর্ত ছিল। এ ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে আইপিওতে আসা কোম্পানিকে কমপক্ষে দেড় কোটি শেয়ার বিক্রি করতে হতো।
তবে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোনো কোম্পানির প্রিমিয়ামসহ শেয়ারদর (কাট-অব-প্রাইস) বেশি নির্ধারিত হলে, যাতে দেড় কোটির কম শেয়ার ইস্যুর প্রয়োজন হতে পারে, এমন ক্ষেত্রে কোম্পানিটির আইপিও বাতিলের বিধান ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।