পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : দেশজুড়ে বিতর্কের মাঝেই বহুল আলোচিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১০ হাজার কোটি রুপির কার্যাদেশ পেয়েছে ভারতীয় সরকারি কোম্পানি ‘ভেল’ (ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড)। এর ফলে ভেল রামপালে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি তাপবিদ্যুৎ ইউনিট তৈরি করবে। ভেলের ইতিহাসে এটিই রপ্তানির সবচেয়ে বড় অর্ডার। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে ‘ভেল’ এ কার্যাদেশ পায়।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের পরিবেশবিদেরাই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা মনে করেন, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের পরিবেশের পক্ষে বিপজ্জনক। পরিবেশের যাতে কোনো রকম ক্ষতি না হয়, সে জন্য ভেল অত্যাধুনিক একটা এফজিডি প্ল্যান্টও তৈরি করবে। এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে যে ছাই উৎপন্ন হবে, তার ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে।
ভেল এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল) ও ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) যৌথভাবে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে। ভেলকে প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহের নির্দেশ তারাই দিয়েছে।
ভেল এ প্রকল্পের নকশা তৈরি থেকে শুরু করে তা স্থাপনের প্রতিটি পর্যায়েই কাজ করবে। এ জন্য একটি জেটি ও প্রকল্পে নদীর পানি নেয়ার কাজও তারা করবে।
ভেলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০০১ সালে তারা ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাঘাবাড়ি গ্যাস টার্বাইন বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করে। এরপর সিদ্ধিরগঞ্জে তৈরি করে ১২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বিআইএফপিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ভেল ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ অর্থ জোগান দেবে। এ নিয়ে ভেল ও এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে ভারতীয় কোম্পানিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশে যন্ত্রপাতি আনা শুরু করবে। এ জন্য তারা এলসি খোলাসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
জানা গেছে, আগামী ৪১ মাসের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) নির্মাণ করবে ভেল। এরপর ৪৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সা¤প্রতিক ভারত সফরের সময় গত ১০ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে এ নিয়ে এক চুক্তিপত্র বিনিময় হয়। ১৬০ কোটি ডলারের এ চুক্তির মাধ্যমে প্রকল্পটির অর্থ সংস্থানের বিষয় (ফাইন্যান্সিয়াল ক্লোজার) নিশ্চিত হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রামপাল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)’-এর সঙ্গে প্রকল্পের ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তিপত্র ওই দিনই (১০ এপ্রিল) দু’পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় করা হয়।
দিল্লিতে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেই অনুষ্ঠানে বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য এবং এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকিনহা চুক্তিপত্র বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভারতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিআইআইয়ের চেয়ারম্যান আদি গোদরেজ, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ও বিআইএফপিসিএলের চেয়ারম্যান আহমেদ কায়কাউস এবং উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১২ জুলাই ঢাকায় প্রকল্পের নির্মাণ ঠিকাদার ভেল ও বিআইএফপিসিএলের মধ্যে রামপাল প্রকল্পের নির্মাণ চুক্তি সই হয়। তারপর আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে শুধু অবশিষ্ট ছিল ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়ে গেছে বলেও প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।