Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট স্কলার্সহোমে বোমা নয় কাগজের প্যাকেট উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : সিলেটের স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাওয়া বোমা সদৃশ বস্তুটি বিস্ফোরক নয়। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কাগজে টেপ লাগিয়ে বোমাসৃদশ করে সেটি রাখা হয়েছিল স্কুলের সিঁড়ির নিচে। গতকাল বুধবার সকালে সেটি উদ্ধার করেছে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং প্রধান এএসপি মো. ইউনুস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল টেপ মোড়ানো বস্তুটি উদ্ধার করেছে। আসলে সেটি কোনো বোমা নয়। টেপে মোড়ানো কাগজ। কাগজে ও এয়ারফোনে টেপ মুড়িয়ে সেটি বোমা সদৃশ করে রাখা হয়েছিল।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিঁড়ির নিচে টেপ মোড়ানো বোমা সদৃশ বস্তুটি পাওয়ার পর আতঙ্ক তৈরি হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি পুলিশ ও র‌্যাবকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়। তখন র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল সেটিকে ‘এক্সক্লুসিভ ডিভাইস’ বলে ধারণা করেছিল। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল পাঠানো। তারা বুধবার সকালে সেটি উদ্ধার করে। এদিকে, গতকাল দুপুরে স্কুলটির প্রিন্সিপাল বিগ্রেডিয়ার জুবায়ের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য দশম শ্রেণির ছাত্র এবাদুর রহমান কৌতুহলবশত কাগজে ও এয়ারফোনে টেপ মুড়িয়ে সেটি বোমা সদৃশ করে রেখেছিল। জুবায়ের সিদ্দিক বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা উদ্ধারের দৃশ্য টেলিভিশনে দেখে এবাদুর রহমান নামের ওই ছাত্রটি কৌতুহলী হয়ে ওঠে। সে কৌতুহলবশত এ কাজটি করেছে। কাগজের মধ্যে এয়ারফোনের তার রেখে তাকে টেপ মুড়িয়ে বোমার মতো করে স্কুলের সিঁড়ির নিচে রেখেছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সে বিষয়টি স্বীকারও করেছে।’ তিনি আরও জানান, এ ঘটনার সাথে নাশকতা বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। যে ছাত্রটি এ কাজ করেছে সেও কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। কেবলমাত্র কৌতুহলবশত সে এ কাজটি করেছে। ব্রিগেডিয়ার (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী আরও জানান, এ ঘটনার পর স্কুলছাত্র এবাদুর রহমান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে স্কুল থেকেও বহিষ্কার করা হবে। এছাড়াও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে স্কুলের কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ