পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বেসরকারি উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বে ইকোনমিক জোন লিমিটেডকে। প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের সদর উপজেলায় এ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করবে। গত সোমবার সন্ধ্যায় কাওরান বাজার বিডিবিএল ভবনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজার প্রধান কার্যালয়ে বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের হাতে এ লাইসেন্স তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বে-অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রি- কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স বা প্রাক যোগ্যতা সনদপত্র দেয়া হয়। এর আগে আরো তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার লাইসেন্স দিয়েছে বেজা।
অনুষ্ঠানে পবন চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগকারীরা ভাল যাতায়াত ব্যবস্থা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করে। এসব কিছু নিশ্চিত করতে সক্ষম হচ্ছে বেজা। বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে বেজা এগিয়ে আসবে।
এরই মধ্যে চায়না, হংকং, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা নির্মাণাধীন এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি। বে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জিডিপি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
বে গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান বলেন, চীনের সাথে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে আরও দুই-তিন কোটি ডলারের বিনিয়োগ আসতে পারে।
বে অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গাজীপুর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে গাজীপুর সদর উপজেলা এলাকায় প্রায় ৬৫ একর জমিতে স্থাপিত হবে এটি। এখানে প্রথম বছরেই দুই হাজার এবং পাঁচ বছরে ২০ থেকে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ, পানি শোধনাগার প্লান্ট, কঠিন বর্জ্য ও নোংরা পানি অপসারণ, তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে বলে বেজা থেকে জানানো হয়।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দীর্ঘ সাত বছর ধরে কাজ করছে বেজা। এরই মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে (মেঘনা, আবদুল মোনেম, আনাম অর্থনৈতিক অঞ্চল) করার চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে বেজা। ২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এই সংস্থা। লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক, হরিপ্রসাদ পাল ও বেজার নির্বাহী বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আইয়ুবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।