বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে বাতিল করা হলো ডাবল মার্ডারে খুনি লন্ডনী সাইফুলের বন্দুকের লাইসেন্স। খুনি সাইফুলের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর এলাকার ইসলামপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আফতাব আলী। খুনি সাইফুল আলমের একনালা বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল ও একনালা বন্দুকটি রাষ্ট্র বরাবরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার একনলা বন্দুকের নম্বর ত-৭২৭২৫৮ড/১৪ঠ৭৬৯৯৫ড১৪। সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক আদেশে এ লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সুমেল হত্যাকান্ডের পর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ গত ৮ মে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে সাইফুলের একনালা বন্দুকের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করেন। এতে বলা হয়, ০১/০৫/২০২১ইং তারিখে আসামী সাইফুল তার সহযোগিদের নিয়ে সুমেল আহমদ শুকুরকে গুলিবর্ষন করে হত্যা করে। বাদীর ভাই মানিক মিয়া ও মনির মিয়াকে গুলিবর্ষন করে গুরুত্ব আহতও করে। প্রভাবশালী মামলাবাজ, ভূমি খেকো, বৈধ, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহাকারি সাইফুল দুর্ঘটনা ঘটনানোর সমূহ সম্ভাবনা বিদ্ধমান। তাহার এহেন কার্যকলাপে এলাকাসহ থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। উল্লেখিত মামলার মতো অন্যায়মূলক হত্যা ও দূর্ঘটনা রোধে সাইফুলের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের আদেশ সহ বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলে উল্লেখ করা হয়।
থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গত ১লা সেপ্টেম্বর আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬এর ২৫ (ক) ধারা লঙ্গন ও কিশোর সুমেলকে হত্যার দায়ে কেন বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা হবে না মর্মে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখা প্রদানের জন্য সাইফুলকে নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তাতেও সাইফুল কোন কর্নপাত না করায় তার বাড়ির গেইটে নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়। আইন মোতাবেক সুমেল হত্যাকান্ডে সাইফুলের বৈধ বন্দুক ব্যবহার করা হলে বন্দুক ও গুলিসহ থানায় জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেপরোয়া সাইফুল আইনকে অমান্য করে বন্দুক ও গুলি থানা বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা প্রদান করেনি।
গত ১মে চৈতননগর গ্রামের নজির মিয়ার বাড়ির-জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে সাইফুল ও তার অস্ত্রবাজ বাহিনী জোরপূর্বক মাটি কাটতে গেলে জমির মালিকরা বাধা দেয়। এতে সাইফুল ও তার সঙ্গীয় বাহিনী বেশ কয়েকটি পিস্তল ও বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর গুলিবর্ষন করে। এতে স্কুলছাত্র সুমেল নিহত হয় এবং তার বাবা চাচাসহ ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনার দুইদিন আগে সিলেটের উপশহরের একটি এলাকা থেকে পিস্তল, বন্দুকসহ একটি অস্ত্রবাজ বাহিনী সাইফুলের বাড়িতে আনা হয় এবং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটানো হয়। সাইফুল আটকের সপ্তাহ খানের আগে সিলেট শাহপরান থানার তার অস্ত্রটি জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি সৈদয় আনিসুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।