রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : উচ্ছেদের দুই মাস না যেতেই সড়ক ও জনপদের জায়গা ফের দখল করে নিয়েছে ভূমিখেকোরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই মিলগেইট এলাকায় সড়ক ও জনপথের প্রায় এক একর জায়গা দখল করে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৬০টিরও বেশি দোকান। আর এসব দোকানের প্রতিটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টাকা হারে কথিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যা গড়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক টাকায় দাঁড়ায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচংয়ের মোকাম ইউনিয়নের সাদাত জুট মিলসংলগ্ন কোরপাই মিলগেইট বাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথের প্রায় এক একর খালি জমি দীঘদিন ধরে চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী লোক দখল করে অবৈধ দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে ভাড়া দিয়ে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন অবৈধভাবে নির্মিত দোকান-পাট উচ্ছেদের মাধ্যমে সরকারি জায়গাটি দখলমুক্ত করে। প্রশাসনের ওই উচ্ছেদ অভিযানের দুই মাস পার না হতেই ভূমিখেকোরা এ বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সড়ক ও জনপথের জায়গাটি ফের দখল করে পুনরায় প্রায় ৬০টি দোকান- কাঠা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এসব দোকানের কোনটি থেকে ১-২ লাখ টাকা অগ্রিম (সালামী) নেয়া হয়েছে। দখলদার গ্রুপটি অত্যন্ত কৌশলে ভাড়া আদায় করছে। যেকোন মুহূর্তে প্রশাসন আবার এসব দোকান-পাট গুড়িয়ে দিতে পারে এমন আশঙ্কায় দখলদাররা দোকানিদের কাছ থেকে দৈনিক ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। প্রতিদিন দোকান প্রতি ৮০ থেকে ১০০টাকা হারে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। রাতে এসব টাকার ভাগভাটোয়ারা চলে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম ভূইয়া, মিন্টু মিয়া, জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল কাশেম দুলালসহ আরো অনেকে জানান, ‘কোরপাইয়ের আবু তাহের ও তসলিমের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ ভূমিখেকো গ্রুপ সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ দোকান-পাট নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায় করছে। মহাসড়ক ঘেঁষে এসব অবৈধ দোকান-পাট গড়ে তোলায় যানজট, পথচারীদের দুর্ঘটনা ও মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের নির্বিঘেœ নিরাপদ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সন্ধ্যারাত থেকে ওইসব দোকানপাটে চলে মাদক ব্যবসা। মাদকসেবিরা নিশ্চিন্তে মাদক সেবন করতে ভিড় জমায় এসব দোকানের সামনে’। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, ‘সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই স্থানে গত বছরের ডিসেম্বরে এগুলো উচ্ছেদ করা হয়। পুনরায় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ হয়ে থাকলে আবারো উচ্ছেদাভিযানসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।