পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাওরগুলোতে চলমান বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, শিল্পায়নের নামে উন্নত দেশগুলো যে হারে কার্বন নিঃসরণ করছে তার বিরূপ প্রভাব পরিবেশের উপর পড়ছে এবং ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশসহ অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য যে আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি উন্নত দেশগুলো দিয়েছে তা পূরণে তারা কার্যকরী ভূমিকা রাখছে না। পরিবেশবিদরা দায়ী দেশগুলোকে তাদের দেয়া প্রতিশ্রæতি পূরণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের আইপিডি কনফারেন্স কক্ষে সর্বদলীয় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় ফোরাম ও কোস্ট ট্রাস্ট’র যৌথ আয়োজনে ‘উপক‚লীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, শিশু-কিশোর-যুবকদের সুরক্ষা: মনপুরা দ্বীপের উদাহরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। অনুষ্ঠানে এমপিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাইমুম সরোয়ার কমল, টিপু সুলতান, নবী নেওয়াজ, জেবুন্œেছা আফরোজ। এছাড়া অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, অধ্যাপক ড. শারমিদ নিলোর্মি, বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেইগবেডার এসময় বক্তব্য রাখেন।
জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উলেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত সমস্যা প্রকট হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো শিল্পায়নের নামে যে হারে কার্বন নিঃসরণ করছে তার বিরূপ প্রভাব পরিবেশের উপর পরছে এবং এর ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন সরকার এর আগে কেউই ছিল না। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকবেলায় করণীয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ইউনিসেফসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট করছে উন্নত বিশ্ব আর তার খেসারত দিচ্ছে আমাদের সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাজেটও বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু এ দায় কী শুধু বাংলাদেশের? পরিবেশের হুমকির জন্য যারা দায়ী তাদের কেন ক্ষতিপূরণ বাবদ পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কার্যকরী ভ‚মিকা রাখছে না? এসময় তিনি ইউনিসেফসহ বিশ্বের পরিবেশবাদী সংস্থা ও সংগঠনগুলোকে কোরাস ভয়েসে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বাঁধ সংস্কারে নতুন কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা সে বিষয়ে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, শুধু মনপুরা নয় সারা দেশের হাওর ও চর অঞ্চলের লোকের পাশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। যারা ভুক্তভোগী তাদের সম্মিলিতভাবে কথা বলা দরকার। এ সময় দেশের সব বিত্তবান মানুষকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।
কমিটির সভাপতি ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ইনোসেন্ট ভিক্টিম। আমাদের দায় নেই কিন্তু আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার। বাংলাদেশে হাওরগুলোতে চলমান বিপর্যয়ের মূল কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেন তিনি। এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোকে তাদের কমিটমেন্ট রক্ষা করতে ইউনিসেফ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। এসময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করা এবং এর সংস্কারের উপরও গুরুত্বারোপ করেন ড. হাসান মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।