Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কাফরুলের সেই ক্লাবে প্রতি রাতেই বসত মদ ও জুয়ার আসর

ডিবি’র অভিযানকালে ছিনতাইয়ের তদন্ত চলছে

| প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চলত অসামাজিক কর্মকান্ডও
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাফরুলের নিউ ওয়েভ ক্লাবটিতে পুলিশকে ম্যানেজ করেই প্রতি রাতে বসতো মদ ও জুয়ার আসর। চলতো অসামাজিক কর্মকান্ডও। যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি সেখানে সদস্যরা শুধু আড্ডা দেয়ার জন্য জড়ো হতেন।  মঙ্গলবার রাতে ইব্রাহিমপুরের ওই ক্লাবে ডিবির অভিযানে ক্লাবের সদস্যদের টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সেখানে অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ মনে করছে। প্রাথমিক তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তিন সদস্যের তদন্তকারী টিম। কাল সোমবার তদন্ত কমিটির এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেয়ার দিনধার্য রয়েছে।  
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, গত দুই দিনের তদন্তে অভিযানের নেপথ্যের অনেকগুলো কারণ চিহ্নিত করে যাচাই-বাছাই চলছে। প্রকৃতপক্ষে ওই অভিযানের সময় কী ঘটেছিল তার অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তবে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের সময় পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগটি তদন্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এটাও অভিযানের মূল কারণ হতে পারে। এই অভিযান চালাতে গিয়ে ডিবি পুলিশের টিম নিজেই চাঁদায় জড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে।  
ওই ঘটনা তদন্তে ডিএমপির তিন সদস্যের তদন্তকারী টিম একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্লাবের সভাপতিসহ অনেক সদস্যদের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। তবে তদন্তকারী টিমের সদস্য অতিরিক্ত কমিশনার জামিল আহমেদ, যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে উপণিত হতে পারেননি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা উভয়পক্ষের বক্তব্য, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, এখতিয়ার ছাড়াই ডিবির ওই দলটি কেন সেখানে অভিযান চালিয়েছিল, এক্ষেত্রে তাদের কোন ব্যক্তিগত অর্থাৎ অনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কিনা, অভিযান চালানোর সময় তারা কোন ধরনের আইন ভেঙ্গে ছিল কিনা, অর্থাৎ অভিযানের সময় তাদের কী ধরনের ত্রæুটি-বিচ্যুতি ছিল সেটাসহ তদন্তে সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখছেন।
অভিযোগ ওঠার পরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযানকারী ১১ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন, ডিবির সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন ছাড়াও পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন, এসআই জাহিদুল ইসলাম, এএসসআই লুৎফর রহমান, মাহবুবুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন ও কনস্টেবল আবদুল লতিফ, আজিজুল হক, জাহাঙ্গীর আলম খান, তৌহিদুল ইসলাম এবং জিল্লুর রহমান।
তদন্তে কেউ দোষি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যায় করে পার পাওয়ার সুযোগ নাই বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিবি

২০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ