পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিকল্পধারার চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প জনবিরোধী কাজ। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে থাকার বেশি দাবি করে। তাই তাদের প্রমাণ করতে হবে জনবিরোধী কাজে তারা নেই। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র-সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘সেভ দ্য সুন্দরবন’ ফাউন্ডেশন। তিনি আরো বলেন, মুখে জনগণের দল বললে হবে না। কাজে তার প্রমাণ দিতে হবে।
আয়োজক সংসগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম, গণমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘শেষবারের মতো বলব, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কথাগুলো শুনুন। কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে কী কী ক্ষতি হবে সেগুলো শুনুন-জানুন। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বোঝে না, তাদের বোঝাতে হবে। সোজা কথা, বাংলাদেশের সুন্দরবন ধ্বংস করে কয়লাবিদ্যুৎ হবে না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এত কিছু বলার পরও সরকারের কানে ঢুকছে না। আসলে কেউ জেগে ঘুমালে জাগানো যায় না। এই জাগানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপিকেও জাগানোর দরকার আছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ভারত বিজয় হয়নি। কিন্তু ফিরে এসে হেফাজত বিজয় করেছেন। এটা রামপালের মতো আরেকটি বিপর্যয় যেন ডেকে না আনতে পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক হতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে যে প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করা দরকার তাই করা হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করা হয়, পরিবেশর ক্ষতি হয় কী না। কিন্তু রামপালে এ প্রকল্পের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগেই তা চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ১৩২০ একর জমির উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২৬৪০ একর। ভারত এ প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে। অথচ ভারতের মাটিতে এ প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেয়নি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রামপালের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তারা রাজাকার আবার সরকারের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন রামপাল প্রকল্পের দূষিত বাতাস সুন্দরবনের দিকে যাবে না। তাহলে কী বলবো আমাদের সরকার বাহাদুর বাতাসকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।