পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাফরুলের একটি ক্লাবে ঢুকে যৌথবাহিনীর পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ১১ সদস্যের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এদিকে তদন্ত কমিটির সদস্য ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের ওই ক্লাবে গিয়ে সেখানকার লোকজন ও সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদেরও বক্তব্য নেয়া হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিমপুর এলাকার নিউ ওয়েভ নামের একটি ক্লাবে প্রবেশ করে অভিযুক্ত ১১ জন পুলিশ সদস্য। তারা নিজেদের ডিবির সদস্য পরিচয়ে ক্লাবে উপস্থিত লোকজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। প্রতিবাদ করলে সেখান থেকে ৪ জনকে হাতকড়া পরিয়ে নিজেদের মাইক্রোবাসে তুলেন। এদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তার স্বামীও ছিলেন। পরে মিলিটারী পুলিশ তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
কাফরুল থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে (জিডি) তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযুক্ত ১১ জন সদস্য হলেন ডিবি (পূর্ব) সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন সরকার (বিসিএস ৩১তম ব্যাচ), পরিদর্শক মো. গিয়াসউদ্দিন, উপ-পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমান, মাহবুবুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন। বাকি পাঁচজন পুলিশের কনস্টেবল। তাঁরা হলেন, আবদুল লতিফ, আজিজুল হক, জাহাঙ্গীর আলম খান, তৌহিদুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান মাইক্রোবাসটি চালাচ্ছিলেন। গত বুধবার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ, গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জামিল আহমেদ ও পুলিশ সদর দপ্তরের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
এদিকে ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বলেছেন, সাসপেন্ড অর্থ পানিশমেন্ট না। তারা যেন তদন্তকে প্রভাবিত করতে না পারে- সেজন্যই এ ব্যবস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।