মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলি কারাগারে বন্দি অনশনরতদের ব্যাপারে আলোচনার দাবি
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলের কারাগারে বন্দি অনশনরত দেড় হাজার ফিলিস্তিনির ব্যাপারে দেশটি আলোচনায় সম্মত না হলে নতুন করে ইসরাইলবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন বা নতুন ইন্তিফাদা’র ডাক দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। এ ব্যাপারে ইসরাইলের সমালোচনাও করেন তারা। গত বুধবার এই হুশিয়ারি দেন ফিলিস্তিনের কারাবন্দি বিষয়ক প্রধান ইসা কারাকে। তিনি বলেন, অনশনরত কোনো ফিলিস্তিনি মারা গেলে নতুন ইন্তিফাদা শুরু হতে পারে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদা হয়েছিল ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে জেরুসালেমের পুরনো শহর (ওল্ড সিটি) এবং মসজিদুল আকসা ভ্রমণ করতে গেলে এই ইন্তিফাদা শুরু হয়। ইসরাইলের তথ্য মতে, তাদের আটটি কারাগারে প্রায় ১ হাজার ১৮৭ ফিলিস্তিনি বন্দি ১৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনি কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে গণ-অনশন শুরু করে তারা। মৌলিক অধিকারের দাবিতে ও ইসরাইলি কারাগারগুলোতে মানবিক সঙ্কটের প্রতিবাদেই এই গণ-অনশন শুরু করেছে ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দিরা। এদিকে পরের তিনদিনে বন্দির সংখ্যা বন্দির সংখ্যা বেড়ে দেড় হাজারে দাঁড়িয়েছে। জেরুজালেমভিত্তিক কারাবন্দিদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন আদামির জানিয়েছে, বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারগুলোতে সাড়ে ৬ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। এদের মধ্যে ৫০০ জন প্রশাসনিক বন্দি। কারাগারে অনেক বন্দিকেই যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় না বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসার জন্য অর্থ দিতে হয় তাদের। অনেক সময় অসুস্থ বন্দিদের দেয়া হয় না পানি। এদিকে বন্দিদের ঘাতক এবং সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেছেন ইসরাইলের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গিলার্ড এরদান। প্যালেস্টেনিয়ান সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য মতে, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইলের কারাগারে ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছে। অনেককেই অস্ত্রোপচারের জন্য চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বন্দিদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপের আহŸান জানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসা কারাকে বলেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে আরো বন্দি অনশন শুরু করবে। কারাবন্দিদের দাবির মধ্যে রয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ দেয়া, মাসে দুইবার পরিবারের সদস্যদের দেখা করার সুযোগ পুনর্বহাল করা, পরিবারের দ্বিতীয় পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া, সাক্ষাতের সময় বাড়ানো এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেয়া। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।