পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবিতে মার্স্টাসের সমমান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রস্তাব অনুযায়ী হওয়ায় জমিয়তের পক্ষ থেকে তারা প্রধানমনন্ত্রীকে এই মোবারকবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কওমি সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিরোধিতা করে যারা বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তারা মূলতঃ জাতির সামনে নিজেদেরই মুখোশ উম্মোচন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একইভাবে সুপ্রিমকোট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী মূর্তিটিও দ্রæত অপসারিত হবে বলে আমরা আশা করছি। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, এক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব করা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং অপসারণের পরিবর্তে ঢেকে দেওয়ার কোনো উদ্যোগও যেন গ্রহণ করা না হয়। এছাড়া ভিন্ন কোন পন্থা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়। বিকল্প ব্যবস্থা নিলে ইসলামী জনতা ফুঁসে উঠবে।
গতকাল ২০ এপ্রিল সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলা বা কার্যকরী পরিষদের সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, সহ-সভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভুইয়া, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, সহকারি মহাসচিব মুফতি আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা আতাউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাওছারী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা জিয়াউল হক কাসেমী, যুব বিষয়ক সম্পাদক, শরফুদ্দিন ইয়াহইয়া কাসেমী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা আব্দুল জলিল ইউসুফী, মাওলানা আনওয়ারুল ইসলাম, মাওলানা বশীরুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা নজরুল ইসলাম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আলেম সমাজকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন যে, “গ্রিক দেবীর এই মূর্তি আমি নিজেও পছন্দ করতে পারছি না। আপনারা আমার প্রতি আস্থা রাখুন। আমি এটিকে এখান থেকে সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো” এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার দ্রæত বাস্তবায়ন চায়। অন্যথায় তারা যে কোন সময় ফুঁসে উঠতে পারে।
সভায় জমিয়তের শতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং এ লক্ষ্যে দলের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীকে আহŸায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্লানিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকী সদস্যরা হচ্ছেন- সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ।
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী মূর্তি সরাতেই হবে। কোন রকম গোজামিল জনগণ মেনে নেবে না। বোরখা পড়িয়ে সুপ্রিমকোর্টের সামনে মূর্তি জায়েজ করা যাবে না। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে মূর্তির পক্ষে কোন রকম যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আজকে দেশের ওলামা-মাশায়েখ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ন্যাক্কারজনকভাবে কটুক্তি করা হচ্ছে যা কোনভাবেই বরদাশত করা যায় না। অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী মূতি অপসারণের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমাদের ধর্মীয় বা সংস্কৃতিক ঐতিহ্য কোন কিছুর সাথেই গ্রিক দেবী মূর্তি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অবিলম্বে এ মূর্তি অপসারণ করতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমদ মনি, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, মাওলানা নোমান মাযহারী, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী ও আমির আলী হাওলাদার।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ গোলাম আসগর বলেন, আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী বাদল-ইনু গংদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার যদি বাদল-ইনু গংদের এ বেয়াদবির বিচার না করে তবে দেশের তাওহদী জনতা রাজপথে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।