নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আয়ারল্যান্ড সফরের দলে আছেন নাসির * চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে চমক সানজামুল
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু হয়ে যাচ্ছে অন্যদের চেয়ে অনেক আগেই। আগামী ২৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে উড়ে যেয়ে সাসেক্সে ১০ দিনের অনুশীলন, ১ ও ৪ মে ২টি অনুশীলন ম্যাচ খেলে ৭ মে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। যেখানে বেলফাস্টে ১০ মে একটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলে ১২ থেকে ২৪ মে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে অবতীর্ণ হবে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে ২৫ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ২৭ মে এজবাস্টনে পাকিস্তান, ৩০ মে সারে ওভালে ভারতের বিপক্ষে ২টি অফিসিয়াল অনুশীলন ম্যাচ খেলে আগামী ১ জুন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে তারা মোকাবিলা করবে ৫ জুন। ৯ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে গ্রæপের শেষ ম্যাচ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার জন্য ২৩ এপ্রিলের মধ্যে দল ঘোষণার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা মেনেই গতকাল ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে ১০ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প এবং আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে আরো একটি দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। যে দলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ ক্রিকেটারকে রেখেছেন নির্বাচকরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঘোষিত দলে চমক বাঁ হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে স্কোয়াডে থেকেও খেলার সুযোগ না পাওয়া এই স্পিনারের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ওয়ানডে ক্যাপ মাথায় ওঠানোর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আয়ারল্যান্ড সফরের দলে আছেন আবাহনীর এই ক্রিকেটার। ধারাবাহিক পারফর্ম করে দলে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন অল রাউন্ডার নাসির হোসেন। ফিরেছেন তিনি, তবে শুধু আয়ারল্যান্ড সফরের দলে রাখা হয়েছে তাকে। বিবেচ্য হননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। দলে অতিরিক্ত উইকেট কিপার কোটায় নুরুল হাসান সোহানকে সাসেক্সের অনুশীলন ক্যাম্প এবং আয়ারল্যান্ড সফরের দলে নেয়া হলেও বিবেচনা করা হয়নি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। পেস বোলার শুভাশিষকেও সাসেক্সের অনুশীলন ক্যাম্প এবং আয়ারল্যান্ড সফরের দলে নেয়া হয়েছে। আয়ারল্যান্ড সফর শেষে ফিরে আসবেন নুরুল হাসান সোহান, নাসির হোসেন, শুভাশীষ রায় এবং স্ট্যান্ডবাই থাকবেন সাইফউদ্দিন। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখা এই পেস অল রাউন্ডারের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় এনে দলের সঙ্গে রেখে পরিনত করার পক্ষে নির্বাচকরা।
গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় কন্ডিশনিং ক্যাম্প এবং নিউজিল্যান্ড সফরের ঘোষিত দলে ছিলেন শফিউল। বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের এই পেস বোলার সিডনীর ফ্লাইটে চড়তে লাগেজ গোছ-গাছ করেও রেখেছিলেন। তবে যাত্রার প্রাক্কালে হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়লে সফর থেকে ছিটকে পড়েন এই পেস বোলার। ফিটনেস ফিরে পেয়ে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করায় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য নির্বাচকদের ঘোষিত ২টি দলেই ফেরানো হয়েছে এই পেস বোলারকে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালে ব্রিস্টলে এবং ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়ে অবদান রাখা শফিউলের আছে ইংলিশ কন্ডিশনে দারুণ অতীত। ২০১০ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং বোলিংও (৪/৫৯) বিবেচনায় এনেছেন নির্বাচকরা। গতকাল দল ঘোষণার সময় সে কারণই উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুÑ ‘বিপিএলে ইনজুরিতে না পড়লে ও অনেকগুলো সিরিজে থাকতো। টানা ম্যাচ খেলা ওর জন্য কঠিন হয়ে যায়, ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে তা বলায় শফিউলকে আমরা শ্রীলঙ্কা সফরের দলে রাখিনি। ওর ফিটনেস লেভেল এখন ঠিক আছে আর যেহেতু ঠাÐা কন্ডিশন খলবো সেহেতু ও টানা ম্যাচ খেলতে পারবে।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আয়ারল্যান্ড সফরের দলে বিবেচ্য হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন শফিউল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অতীত সুখস্মৃতি থেকে টনিক নিয়ে কার্যকরী বোলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে চান শফিউলÑ ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে সুইংয়ের সঙ্গে লাইন লেন্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের তুলনায় সেখানে হয়তো সুবিধা পাওয়া যাবে। আগের ছন্দটা ফিরে পেয়েছি। এটা ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছু হবে।’
গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর দলের বাইরে নাসিরকে রাখায় কম সমালোচনা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার কথা মাথায় রেখে নাসিরকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দলে ফেরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচকÑ ‘ওকে আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এনেছি। ও ইমার্জিং কাপে ভাল খেলেছে ও ঘরোয়া ক্রিকেট যথেষ্ট ভাল খেলেছে। যেহেতু সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে। তাছাড়া আয়ারল্যান্ড সফরে ওকে অভ্যস্ত করানো দরকার। সামনে আমাদের অনেকগুলো অ্যাওয়ে সিরিজও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের বড় সিরিজ আছে সেই হিসেবে ১৮ জন নিয়ে যাচ্ছি। নাসিরের জায়গায়,সাব্বির, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদুল্লাহ থাকায় তাকে নিতে পারিনি। এখন যেহেতু সাব্বিরকে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত করা হয়েছে, তাই একটা জায়গা খালি হয়েছে। এ তিনজন থেকেই আমরা ছয় ও সাত নম্বরের জন্য নিবো।’ ৬ মাস পর দলে ফিরতে পেরে শুকরিয়া আদায় করছেন নাসিরÑ ‘যারা আমাকে দলে নির্বাচিত করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। কারণ তারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি পারফর্ম করতে। যখনই যেখানে সুযোগ পেয়েছি পারফর্ম করতে চেয়েছি। এখন সুযোগ পাওয়াই শেষ কথা নয়। আসল কাজ হলো সেখানে গিয়ে পারফর্ম করা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।