Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীলংকার নির্মাণ খাতে শ্রমিক সংকট তীব্র

| প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কয়েক দশক ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় আকাশছোঁয়া ভবন তৈরি করছেন শ্রীলংকার নির্মাণ শ্রমিকরা। প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স শ্রীলংকার বৈদেশিক আয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। তবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সত্তে¡ও শ্রমিকদের বিদেশ গমনের প্রবণতা পরোক্ষভাবে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করছে শ্রীলংকার উদীয়মান নির্মাণ খাতে। শ্রমিকের অভাবে আটকে যাচ্ছে নির্মাণ খাতের অভূতপূর্ব গতিশীলতা। শ্রমিকদের বিদেশ গমন ঠেকাতে তাই নগদ অর্থ থেকে শুরু করে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মতো বিলাসবহুল প্রণোদনা দিচ্ছে শ্রীলংকার কোম্পানিগুলো। কয়েক দশক ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ ২০০৯ সালে শেষ হওয়ার পর শ্রীলংকায় ব্যাপক পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। যার ফলে সা¤প্রতিক বছরগুলোয় নতুন বাসভবন, রাস্তা ও বন্দর নির্মাণে শ্রীলংকার বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। চলতি বছর বিনিয়োগের পরিমাণ তিন গুণ বেড়ে ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্রমিকের চাহিদা। চেম্বার অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নিসাংকা বিজেরাতেœ জানান, নির্মাণ খাত বর্তমানে তীব্র শ্রমিক সংকটে ভুগছে। দেশটির চার লাখ নতুন নির্মাণ শ্রমিক প্রয়োজন। তিনি বলেন, রাতারাতি এত বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের জোগান দেয়া সম্ভব না হওয়ায় শ্রীলংকাকে বাধ্য হয়ে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। এ সমস্যা সমাধানে চরম মাত্রার পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন বেসরকারি ঠিকাদাররা। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য গমনেচ্ছু শ্রমিকদের দেশীয় শ্রমবাজারে ধরে রাখতে বোনাস হিসেবে মোটরসাইকেল ও গাড়ি দিচ্ছেন তারা। এদিকে শ্রমিকদের বিদেশ গমন ঠেকাতে তাদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শ্রীলংকা সরকার। মএছাড়া শ্রীলংকায় কায়িক পরিশ্রমের কাজ সামাজিকভাবে হেয় হওয়ায় অনেক যুবকই। বøুমবার্গ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ