মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে কৌশলগত ধৈর্যের দিন ফুরিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। পিয়ংইয়ংয়ের ব্যর্থ মিসাইল পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যকে আসন্ন যুদ্ধের হুমকি হিসেবেই দেখছে উত্তর কোরিয়া। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ সামরিক সতর্কতায় রয়েছে পিয়ংইয়ং। এদিকে এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই দায়ী করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থী হিসেবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে গেছেন ট্রাম্প। অথচ ওই সময় জটিল ক‚টনৈতিক সমস্যাগুলোকে একপাশে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে উত্তর কোরিয়াকেই চিহ্নিত করেছিলেন বারাক ওবামা। নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় নিবন্ধে আরো বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কার্যকর কোনো ভাবনা ভাবছেন না তিনি। তার অসংযমী কথাবার্তা এখন আঞ্চলিক উত্তেজনাকে উসকে দিচ্ছে। মিত্রদেরও ঠেলে দিচ্ছে অস্বস্তির মুখে। এবং যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের শিকার হওয়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার চিরাচরিত ভয় এখন আরো জোরালো হয়ে উঠেছে। উত্তর কোরিয়া তার প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রটি বানিয়েছিল এ আক্রমণের ভয় থেকেই। খবরে বলা হয়, মাইক পেন্স গত সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী ঘোষিত অসামরিক অঞ্চলের (ডিমিলিটারাইজড জোন ডিএমজেড) অদূরে মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা ক্যাম্প বোনিফাস পরিদর্শন করেন। চার কিলোমিটার বিস্তৃত ডিএমজেডের ঠিক সীমানাঘেঁষে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক ক্যাম্পটি গড়ে তোলা হয়েছে। ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় এখানকার সামরিক নেতা ও মার্কিন সেনাদের ব্রিফ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাইক পেন্স। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশা ছিল চীন তার অসাধারণ কৌশল ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়াকে দিয়ে এসব অস্ত্র পরিত্যাগ করাতে পারবে। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ের স্বেচ্ছায় পারমাণবিক ও মিসাইল কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সা¤প্রতিক মিসাইল পরীক্ষাটি ছিল এক ধরনের উসকানি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অথবা প্রয়োজনমতো পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা বিধান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার লক্ষ্য অর্জন করবেই। এবিসি, আল-জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।