মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোটা বাড়িয়ে বিধান সভায় বিল পাস, ক্ষুব্ধ বিজেপি
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙ্গে গড়া তেলেঙ্গানা রাজ্যে মুসলিম সংরক্ষণ কোটা বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি। রাজ্য বিধানসভায় এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিজেপির বিধায়করা। রোববার রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে এই বিল পাস হয়। বিলটি এখন প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
বিধানসভার ওই বিশেষ অধিবেশনে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে মুসলিম সংরক্ষণের হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার বিল পাস হয়। এই বিলে তফসিলি উপজাতি স¤প্রদায়ের সংরক্ষণের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে তেলেঙ্গানা রাজ্যে নতুন এই বিলে সংরক্ষণের হার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬২ শতাংশ করা হয়। তেলেঙ্গানার বিরোধী দল বিজেপি তফসিলি উপজাতি স¤প্রদায়ের সংরক্ষণ কোটার হার বৃদ্ধিতে কোনো আপত্তি তোলেনি; বরং এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে মুসলিম সংরক্ষণের হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করায় তার তীব্র প্রতিবাদে জানায় বিজেপি। এদিন বিধানসভায় ‘পিছিয়েপড়া শ্রেণি, তফসিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণ বিল-২০১৭’ পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। মুখ্যমন্ত্রী এই বিল পেস করার পর বিরোধিতা করেন বিজেপির বিধায়করা। অভিযোগ তোলেন, মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের হার বাড়িয়ে চন্দ্র শেখররাও সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করছেন। এই বিলের প্রতিবাদে বিজেপির বিধায়করা বিধানসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করে বিধানসভার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। এর পরেই বিধান সভার স্পিকার রাজ্য বিজেপি সভাপতিসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে এদিনের জন্য বহিষ্কার করেন। পরে অবশিষ্ট বিজেপি সদস্য রামাচন্দ্র রাও ওয়াক আউট করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেয়া হয়নি। আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে বেশি করে সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রæতিও ছিল। আমরা তা পূরণ করেছি। পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।