মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অসামরিক ঘোষিত এলাকার প্রবেশপথ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে তিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় এশিয়ার এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। পেন্সের এই সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের পাশেই আছে সেই বার্তা পৌঁছে দেয়া। পেন্স সাংবাদিকদের বলেছেন, এই দেশের জনগণের জন্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং লক্ষ্য অর্জনে আলোচনার টেবিলে সব ধরনের সুযোগ রাখা আছে। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনো বিশেষ সামরিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন না। উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্যের অবসান ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৌশলগত ধৈর্যের একটি সময়সীমা আছে। তবে সেই কৌশলগত ধৈর্যের যুগের অবসান ঘটেছে। এর আগে রোববার ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাকমাস্টার জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দিতে চীনের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
অপর এক খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন বিমান বাহিনী মাধ্যাকর্ষণ শক্তিচালিত নতুন পরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছে। বিমান এ বোমা সঠিকভাবে বহন করতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মার্কিন জাতীয় পরমাণু নিরাপত্তা প্রশাসন বা এনএনএসএ বলেছে, নেভাদা মরুভূমিতে এ বোমার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। বি৬১ পরমাণু বোমার উন্নত সংস্করণ বি৬১-১২ বোমার পরীক্ষা চালানো হয়। এ প্রজাতির বোমায় কোনো ধরনের দিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই এবং বিমান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর মাধ্যাকর্ষণের টানে লক্ষ্যবস্তুর দিকে পড়তে থাকে। এ জন্য এ বোমাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিচালিত পরমাণু বোমা বলা হয়।
পরীক্ষার সময় বোমার পরমাণু অংশ ব্যবহার করা হয়নি। এফ-১৬ জঙ্গিবিমান এ বোমা ফেলতে সক্ষম কিনা তাই যাচাই করা হয়েছে। পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেও ঘোষণা করা হয়। গত মাসের ১৪ তারিখে নেভাদার টনোপাহ্ পরীক্ষা কেন্দ্র এ বোমা ফেলা হয়। আগামী তিন বছরে ধরে এ বোমা নিয়ে যেসব ধারাবাহিক পরীক্ষা করা হবে তারই অংশ হিসেবে এটি সম্পন্ন করা হয়। মার্কিন অস্ত্রাগারের চার বি৬১ বোমার স্থলাভিষিক্ত হবে বি৬১-১২। ২০২০ সালের মার্চে এ বোমার প্রথম উৎপাদন শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে টানাপড়েন তুঙ্গে এবং আফগানিস্তানে মার্কিন ‘সব বোমার জননী’র পরীক্ষা নিয়ে যখন বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া চলছে তখন নতুন এ পরমাণু বোমা পরীক্ষার কথা ঘোষণা করা হলো। আমেরিকা পরমাণু যুদ্ধের অংশ হিসেবে এ বি৬১-১২ বোমার পরীক্ষা করছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। সিনহুয়া, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।