Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে এক ব্যক্তিকে সেনা জিপের সামনে দড়ি দিয়ে বেঁধে মানবঢাল বানানোর ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। গত রোববার এই সংবাদ প্রকাশ পায়। গত সপ্তাহে কাশ্মির উপত্যাকায় উপনির্বাচন চলাকালে এ ঘটনা ঘটেছে এবং চলতি সপ্তাহে এর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটির বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিবেন তিনি। পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করা ও তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলার অভিযোগ আনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৯ এপ্রিল কাশ্মির উপত্যকার শ্রীনগরে লোকসভার একটি আসনে উপনির্বাচন চলাকালে উত্তেজিত একদল জনতা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছিল, ওই সময় ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ৪০০ লোক ওই নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করছিল দাবি করে সূত্রগুলো জানায়, জিপের ফেন্ডারে বাঁধা ওই ব্যক্তিকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু তার কোনো ক্ষতি করা হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর ৫৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ইউনিট জড়িত ছিল। ঘটনার শিকার ব্যক্তিকে ফারুক আহমদ দার বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি কাশ্মীরের বুদগাম জেলার খাগ তহশিলের সীতাহরণ গ্রামের বাসিন্দা। ফারুক তদন্তকারীদের বলেছেন, ভোট দিয়ে বোনের বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে তাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় সেখানে যাচ্ছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে বীরওয়াহ গ্রামে প্রবেশের চেষ্টারত সেনাবাহিনীর একটি দল তাকে তুলে নেয়। ওই উপনির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিল কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা। নির্বাচনকালে ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আট জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ভাঙচুর করে ও পুড়িয়ে দেয়। নির্বাচনে ভোটর উপস্থিতির হারও ছিল অত্যন্ত কম, গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে এখানে। এনডিটিভি, ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ