মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ট্রাম্পের আয়কর বিবরণী প্রকাশের দাবিতে দেড় শতাধিক স্থানে রাস্তায় নেমেছে ক্ষুব্ধ মানুষ। ক্যালিফোর্নিয়ায় সমর্থক-বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ
২১ জন আটক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আয়কর বিবরণী প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অন্তত দেড় শতাধিক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ছাড়াও নিউইয়র্ক, বোস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দেশটির বড় বড় শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আয়করের তথ্য গোপন করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশটির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রথা ভাঙেছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পাশাপাশি তার সমর্থকরাও পথে নেমেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। এখান থেকে আটক করা হয়েছে অন্তত ২১ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হবে। মূলত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিনিরা আয়কর হিসাব জমা দেন। প্রকাশ করেন তাদের করের বিবরণী। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের আয়কর বিবরণী প্রকাশ করা থেকে বিরত আছেন। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের আয়করের তথ্য প্রকাশ করা হলেও সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের তথ্য ছিল না। এ ইস্যুতে নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই সমালোচিত হন ট্রাম্প। সম্প্রতি এ সমালোচনা আরো জোরালো হয়েছে। যা গত শনিবার বিক্ষোভে রূপ নেয়। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্পের উপদেষ্টা কেলিঅ্যান কনওয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আয়কর বিবরণী প্রকাশ করবেন না। কারণ মানুষের কাছে এর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এ বক্তব্যের পরপরই দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করে টুইট করেন আইনের অধ্যাপক জেনিফার তাউব। তার উদ্যোগেই এ বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। ওয়াশিংটনে মিছিলে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবিনি আমার টুইটের জেরে দেশব্যাপী এতবড় বিক্ষোভ মিছিল হবে। আসলে সবাই ট্রাম্পের এ কাজের জন্য বিরক্ত। তাই তারা নিজেরাই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এখন প্রেসিডেন্টের উচিত তার আয়করের তথ্য প্রকাশ করা। বিক্ষোভে অংশ নেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট দলীয় কংগ্রেসম্যান ম্যাক্সিন ওয়াটারস। তিনি বলেন, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের বড় রকমের ঘাটতি আছে। তিনি (ট্রাম্প) সবসময় স্বচ্ছতার বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু নিজে তা মেনে চলেন না। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভে অংশ নেন চাক ওয়াশ। তিনি বলেন, আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আয়, বিনিয়োগ এবং অনুদান সম্পর্কে জানার অধিকার আমাদের আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী আইনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের আয়কর বিবরণী প্রকাশ করাটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে ১৯৭২ সাল থেকে সব প্রেসিডেন্টই স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে তা প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে ট্রাম্পই ব্যতিক্রম। শুরুতে তিনি জানিয়েছিলেন, আয়কর নথিন নিরীক্ষা চলছে। নিরীক্ষা শেষ হলে তার আয়করের তথ্য প্রকাশ করা হবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হয়ে এ অবস্থান থেকে সরে এসে নথি প্রকাশ না করার কথা জানান তিনি। বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তরফ থেকে ট্রাম্পের আয়করের তথ্য প্রকাশের দাবি উঠেছে। দাবি তুলেছিলেন হিলারি ক্লিনটনও। তবে ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড়। যদিও গণমাধ্যমে তার আয়কর নথির কিছু অংশ ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০০৫ সালে তার আয় ছিল ১৫ কোটি ডলার। আর কর দিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।