মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পরও উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। উত্তর কোরিয়া আগেই জানিয়েছিল, তারা ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা বা আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাবে। এ নিয়ে আগেই যুক্তরাষ্ট্র উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্তে¡ও গতকাল রোববার উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সিনপোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। তবে এবার কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের নেভি কমান্ডার ডেভ বেনহাম জানিয়েছেন, রবিবার উত্তর কোরিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে তা উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির ধরন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে একই জায়গা থেকে উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। তবে এ সম্পর্কে পিয়ং ইয়ং এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুং এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পিয়ং ইয়ং-এ আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজের একদিন পরই এ পরীক্ষা চালানো হলো। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ দফতর জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সিনপো অঞ্চল থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে পরীক্ষাটি সম্ভবত ব্যর্থ হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন কোরীয় উপদ্বীপে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোরিয়া উপদ্বীপ অভিমুখে রয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রæপ। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়া-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ‘ধৈর্যচ্যুতি’ ঘটেছে বলে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন। শনিবারের সামরিক প্যারেডে ট্যাংক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামসহ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বড় ধরনের প্রদর্শনী করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা যখন বিরাজ করছে কোরিয়া উপদ্বীপে, তখন নিজেদের সামরিক শক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করে উত্তর কোরিয়া। এদিন দেশটির নেতা কিম জং উন বলেন, প্রয়োজনে পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত পিয়ং ইয়ং। দেশটির সামরিক কর্মকর্তা চো রেয়ং-হায়ে বলেছেন, যে কোনও হামলার বিপরীতে আমরা নিজস্ব কায়দায় পাল্টা পরমাণু আঘাত করার জন্য প্রস্তুত। ওই সামরিক প্রদর্শনীতে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ আরেকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর আগে কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং রিয়ল মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগ্রাসী টুইটবার্তার মাধ্যমে সমস্যা তৈরি করছেন। মার্কিন প্রশাসন অসৎ উদ্দেশ্যে উপদ্বীপের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।