Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এক মাস পূর্বেই ফল প্রকাশ আমতলীতে সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তি প্রদানে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ আমতলীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ১ মাস পূর্বেই প্রকাশ হয়ে পড়েছে। ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি প্রদানে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৬-এর ফলাফল ১১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ প্রকাশিত করেছে সরকার। কিন্তু গত ২০ মার্চ আমতলীর জনৈক আবুল কালাম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর ট্যালেন্টপুল প্রাপ্ত ১০ জন ছাত্র এবং ১০ জন ছাত্রীর রোল নম্বারসহ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের অনুলিপি অন্যান্য ৭টি দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন আমতলী পৌরসভাস্থ সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের কিছু অসাধু শিক্ষক ও দুর্নীতিবাজ অভিভাবক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সাথে জড়িত থেকে টিইও (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাহিদ উদ্দিন ও এটিইও মোঃ রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে উৎকোচ দিয়ে বৃত্তি ক্রয় করে নিয়েছে। তার অভিযোগ পত্রে প্রদত্ত ট্যালেন্টপুল প্রাপ্ত রোল নম্বরগুলো ১১ এপ্রিল প্রকাশিত ফলাফলের সাথে হুবহু মিলে গেছে। বৃত্তি থেকে বঞ্চিত ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবকদের অভিযোগ ইতিপূর্বেও বৃত্তির রেজাল্ট নিয়ে আমতলীর কতিপয় শিক্ষকের কেলেংকারীর ঘটনা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেটা হয়েছিল ফল প্রকাশের পর। কিন্তু এবছর ফল প্রকাশের পূর্বেই এ কেলেংকারির ঘটনা ২৪ মার্চ ২০১৭ তারিখ বরিশালের দৈনিক শাহানামা ও দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ভাল ছাত্র/ছাত্রীরা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা জানান, ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্ত ৪১০৪,৪১৫৩,৯৬৩,৩৯২৭,৩৯৫৯,৯৬৪,২৪২৫,৩৮৪২,৩৮৪৩,৪০৪৯,৪০৫১ রোল নাম্বারের ছাত্র/ছাত্রীরা ৩য়,৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণীতে স্কুলে ফেল করে আবার কোন রকম পাস করে এবং অনেক সময় আমরা (শিক্ষকরা) পাস করিয়ে দিই। তারা কি ভাবে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছে তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত রোলের ছাত্র/ছাত্রীদের স্ব-স্ব স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষার খাতা এবং সমাপনী পরীক্ষার খাতাপত্র ন্যায়,অভিজ্ঞ অফিসার দ্বারা যাছাই/বাছাই কমিটি গঠন করলে সত্যতা প্রকাশ পাবে। অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র, নম্বরপত্র এবং কমপিউটারের ডাটাএন্ট্রি নম্বর পুনরায় যাচাই/বাছাই করে ফলাফল প্রকাশ এবং কোমলমতি শিশুদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি করার জন্য দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে চাকুরীচ্যুত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হউক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এক

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ