হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোহাম্মদ আবদুল গফুর : বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার দায়িত্ব যাদের তারা নিজেরাই যদি গণতন্ত্রের অগ্রগতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয় তা হলে এ প্রশ্নের সঠিক জবাব খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে বাধ্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যতগুলো ষড়যন্ত্র হয়েছে তার মধ্যে এক-এগারোর সেনা-সমর্থিত সরকার যে ছিল অন্যতম প্রধান, একথা এখন সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন। এর ধারাবাহিকতায় এখন দেশে এক-এগারোর কুশীলবদের বিচারের দাবিও ক্রমেই জোরদার হয়ে উঠছে। কিন্তু দেশ সেই বহু-প্রতীক্ষিত বিচারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে হয় না। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবাধ বিকাশের পথে কতবার কিভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, সে ব্যাপারেও জনগণকে বুঝতে দেয়া হচ্ছে না।
অথচ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে দীর্ঘকালের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ঐতিহাসিক অবদান ছিল। এর কারণও ছিল। ১৯৪৭ সালে আমরা প্রায় দু’শ বছরের সাম্রাজ্যবাদী শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্রের নাগরিক হই, সে রাষ্ট্রে গণতন্ত্র কখনোই উপযুক্ত মর্যাদা পায়নি। যে রাষ্ট্রে বাংলা ভাষী নাগরিকদের সংখ্যা শতকরা ৫৬ জন হলেও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আমলাদের মধ্যে উর্দুভাষীদের আধিক্য থাকায় রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে কোন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার গোপন ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এর প্রমাণ পাওয়া যায় নতুন রাষ্ট্রের পোস্টকার্ড, এনভেলাপ, মানিঅর্ডার ফরম প্রভৃতিতে ইংরেজির পাশাপাশি শুধু উর্দু ব্যবহার থেকে।
এর বিরুদ্ধে ১৯৪৭’র সেপ্টেম্বর মাসেই শুরু হয়ে যায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন। ঐ সময় ভাষা আন্দোলনের উদ্যোক্তা সংস্থা তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু” শীর্ষক যে পুস্তিকা প্রকাশিত হয়, তাতে প্রথম নিবন্ধেই পাকিস্তান আন্দোলনের মূল ভিত্তিরূপী ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের উল্লেখ করে বলা হয়, লাহোর প্রস্তাবে উপমহাদেশের মুসলিম অধ্যুষিত পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। এই ব্যাখ্যার সূত্র ধরে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে একই সাথে এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যে জন্ম নেয় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার চেতনা। জনগণের এই স্বাধিকার চেতনাকে ১৯৭১ সালে টিক্কা বাহিনী পশুবলে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করলে এদেশের দামাল ছেলেরা জান কবুল করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে নয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পেছনে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। দুঃখের বিষয়, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটিমাত্র সরকারি দল বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়। এরপর যদিও বহু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় তবুও মনে হয় এক দলীয় বাকশাল সমর্থক রাজনৈতিক দলটি কখনও একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার মোহ কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের এই গণতন্ত্র বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এক পর্যায়ে তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে বসলে আওয়ামী লীগ ঐ অভ্যুত্থানের প্রতি সমর্থন জানায় এই বিবেচনায় যে, উৎখাত হওয়া ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলেই তাকে অন্যায়ভাবে সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে উৎখাত করার প্রতি এভাবে সমর্থন দান আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র-প্রীতির প্রমাণ বহন করে না।
দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের মধ্যে যদি এধরনের গণতন্ত্রবিরোধী মনোভাব গভীরভাবে দানা বাঁধে, তখন দেশে গণতন্ত্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তির দুঃসাহস একটু বেশিই বেড়ে যায়। বাংলাদেশে হয়েছেও তাই। এই পটভূমিতেই বাংলাদেশে এক-এগারোর তথাকথিত সেনা-সমর্থিত সরকারের নামে সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং বহুল নিন্দিত মাইনাস-টু ফর্মুলার মাধ্যমে দেশের দুই প্রধান নেত্রীকে বন্দি করে তাদেরকে চিরতরে রাজনীতি থেকে বিদায় দিয়ে তথাকথিত সংস্কারপন্থীদের হাতে দুই দলের নেতৃত্ব ন্যস্ত করার একটা ষড়যন্ত্র এগিয়ে চলে। ভাগ্য ভালো, দুই দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রবল বিরোধিতার ফলে এই ষড়যন্ত্র ভন্ডুল হয়ে যায়।
দুই দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রবল বিরোধিতার ফলে শুধু মাইনাস-টু ফর্মুলার ভিত্তিই কেঁপে ওঠে না। দেশের সর্বত্র গণতন্ত্রঘাতী এই তথাকথিত মাইনাস-টু ফর্মুলার হোতাদের বিরুদ্ধেও জনমত বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, তখন ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত এক-এগারোর সরকারের- ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা’। সর্বত্র তাদের বিচারের দাবি ওঠে। তাদের সেই দুর্দিনে এগিয়ে আসেন অন্যতম বন্দি নেত্রী শেখ হাসিনা। ঐ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন তিনি এবং এক-এগারোর সরকারের হোতাদের বিচার না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এভাবে দেশ আপাতত গণতন্ত্রঘাতী অনাকাক্সিক্ষত সেনাসর্থিত এক-এগারোর সরকারের শাসন থেকে মুক্তি লাভ করলেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ অবধারিত হয়েছে এমনটা মনে করার কোন সঙ্গত কারণ নেই। গণতন্ত্রে সকল মত ও পথের মানুষের বাকস্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকতে হয়। বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এজন্য উযুক্ত ব্যবস্থা হচ্ছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক কালের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। অতীতে কিভাবে সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে উৎখাত করে দেশে সেনা শাসন প্রতিষ্ঠা করেন, তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। জেনারেল এরশাদের ঐ সুদীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এরশাদবিরোধী আন্দোলন চালায়। তবে আওয়ামী লীগ যদি বিএনপির মতো আন্দোলনে আন্তরিক হতো তা হলে জেনারেল এরশাদ অতদিন তার স্বৈরাচারী শাসন চালাতে পারতেন না।
এখানে একটা কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় আমাদের দেশের জনগণের রাজনৈতিক চেতনা সম্বন্ধে: একশ্রেণীর রাজনীতিক সাধারণ মানুষদের যতটা বোকা ভাবেন তারা তা নন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির আন্তরিকতার মূল্য তারা দেয় এরশাদ আমলের অবসানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে। ঐ নির্বাচনে নিজ ভোটকেন্দ্রে ভোটদানের পর শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে বলেন, আমি সব জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, কেউ যেন অবার নির্বাচনে হেরে গিয়ে এর মধ্যে কারচুপি আবিষ্কার না করেন। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, ভোট গণনা শেষ হলে দেখা গেল আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিএনপি। অবলীলাক্রমে তিনি বলে ফেললেন, নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সরকার গঠন করেন। তাঁর সরকারের আমলে প্রধানত তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখে দেশের জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে বিধিবদ্ধ করা হয়। দেশে এ পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন হয় এবং তাতে পরপর দুই প্রধান দল জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্ষমতার ক্ষুধার কারণে এই সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও এক পর্যায়ে পচিয়ে ফেলা হয় এবং সেই সুযোগে অসাংবিধানিক শক্তি সেনাসমর্থিত সরকারের নাম দেশ নিয়ন্ত্রিত সরকার হিসেবে ক্ষমতার দখল করে বসে। এরপর কিভাবে সেই অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেত্রী বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন তা ইতোমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর আওয়ামী লীগ তার অতীতের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অবস্থান থেকে সরে এসে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে বিএনপি অতীত সমাঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৫ জানুয়ারির সে নির্বাচন বয়কট করে। দেশের একটি প্রধান দল নির্বাচন বয়কট করায় সে নির্বাচন হয়ে পড়ে অনেকটা মূল্যহীন। খুব কম সংখ্যক ভোটারই ভোট দিতে যান। ভোটকেন্দ্রে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীর অনুপস্থিতিতে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা ইচ্ছামত ব্যালটবাক্সে সিল মেরে সরকারিদলের কৃত্রিম ভোট সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ গ্রহণ করেন। এতো গেল যেসব কেন্দ্রে ভোট হয় তার কথা। এই নির্বাচনে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনেই সরকারি প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন যা ছিল দেশের স্মরণকালের ইতিহাসে রেকর্ড ভঙ্গের এক ঘটনা। এসব কারণে এ নির্বাচনকে জনগণ আখ্যা দেয় ভোটারবিহীন নির্বাচন।
অবশ্য এ নির্বাচনে আওয়ামী নেত্রী খুব খুশি। তিনি এক পর্যায়ে সংসদে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় ভালোই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তি খেউর শুনতে হচ্ছে না। বলাবাহুল্য, এটা তাঁর গণতন্ত্র-প্রীতির লক্ষণ নয়। গণতন্ত্রে বিরোধী অভিমতের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করা অপরিহার্য। মানুষ নিজের ভুল সাধারণত সহজে টের পায় না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী পক্ষের মতামত প্রকাশের নিশ্চয়তা থাকায় ক্ষমতাসীনদের পক্ষে তাদের ভুলভ্রান্তি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। যেহেতু দোষেগুণে মানুষ এবং যেহেতু নিজের দোষ বা ভুল ভ্রান্তি মানুষ সহজে বুঝে উঠতে পারে না, তাই দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকলে যেমন জনগণ তাদের স্বাধীন ইচ্ছা মোতাবেক প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা গণতন্ত্রের সুবাদে নিজেদের সাফল্য ও ব্যর্থতার প্রকৃত অবস্থা সম্বন্ধে অবহিত হয়ে ভুল-ভ্রান্তি সংশোধনের সুযোগ পেতে পারেন। পক্ষান্তরে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জোরদার না থাকলে জনগণ স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও একদিকে যেমন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত থাকেন তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরাও জনগণের সাথে সংযোগ হারিয়ে স্বৈরাচারী আচরণে উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারেন। যে কোন বিচারেই হোক দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের সকলের পবিত্রতা দায়িত্ব। আমরা এ দায়িত্ব পালনে যদি অবহেলা করি তবে দেশ ও জনগণের প্রতি আমাদের চরম অবিচারের জন্য অবশ্যই একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।