Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি

| প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন বিমানবাহী রণতরী যখন কোরিয়া অভিমুখে যাত্রা করেছে তখন আক্রমণ মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং রিয়ল মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। হান সং রিয়ল অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগ্রাসী টুইটবার্তার মাধ্যমে সমস্যা তৈরি করছেন। মার্কিন প্রশাসন অসৎ উদ্দেশ্যে উপদ্বীপের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। উত্তর কোরিয়ার সামরিক নীতি সম্পর্কে তিনি জানান, দু’বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার সময় উত্তর কোরিয়া তার সামরিক নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। এখন যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ উত্তর কোরিয়া একাই নেবে। হান আরো বলেন, আমাদের শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা রয়েছে। আর মার্কিন হামলার মুখে আমরা নিশ্চিতভাবেই সে অস্ত্র হাতে নিয়ে বসে থাকব না। মার্কিন বাহিনী যেভাবে আক্রমণ করবে আমরা তার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়া মানসম্পন্ন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে সরে আসবে না।
উল্লেখ্য, কোরিয়া উপদ্বীপ অভিমুখে রয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রæপ। ওদিকে ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুত উত্তর কোরিয়া। গতকাল শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময়ে ৬ষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানো হতে পারে। তাছাড়া সিরিয়ায় বিষাক্ত সারিন গ্যাস হামলার পর পরই উত্তর কোরিয়ার একটি উপদ্বীপের দিকে নৌবহর পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেও পাল্টা হুমকি দিতে ছাড়েনি উ. কোরীয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। পিয়ংইয়ং অভিযোগ করে বলেছে, এ পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়া উপদ্বীপকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। স¤প্রতি ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সিরিয়া সরকারের ওপর তিনি এরই মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন। আফগানিস্তানেও আইএস জঙ্গিদের ওপর অপারমাণবিক সবচেয়ে বড় বোমা বিস্ফোরণ এরই মধ্যে ঘটিয়েছেন তিনি। উত্তর কোরিয়াকে থামানো না গেলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করে ফেলতে পারে বলে উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।
অপর খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া দ্রæতই মার্কিন প্রশাসনের সামরিক হিস্টিরিয়ার সমাপ্তি টানতে বলেছে। নতুবা পাল্টা আঘাতের মুখোমুখি হতে হবে বলে আগাম সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সূর্যের দিন পালন করেছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের জন্মবার্ষিকীতে এ দিবস পালন করা হয়। এবার কিম ইল-সুংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এ দিবসকে ঘিরে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক প্যারেড পরিদর্শন করেছেন দেশটির নেতা কিম জং-উন। প্যারেডে দেশটির সর্বাধুনিক অস্ত্রের প্রদর্শন করা হয়। প্যারেড পরিদর্শনকালে কিম জং-উনকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া মনে করছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুতর সামরিক হিস্টিরিয়া একটি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ আচরণ অগ্রাহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বরাতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনের নেয়া শত্রæতামূলক নীতির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সমুচিত ও নির্দয় জবাব দেবে উত্তর কোরিয়ার জনগণ ও সেনাবাহিনী। সূর্যের দিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়া ষষ্ঠবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ইস্যুতে দুদেশের উত্তেজনা মাত্রা ছাড়িয়েছে। এমনকি পিয়ংইয়ংয়ের মিত্র চীন মনে করছে, উত্তেজনা এতটাই বেড়ে গেছে যে, কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মাকাবেলায় কোরীয় উপদ্বীপে বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের নিদেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুমকি মোকাবেলায় চীনের সহায়তা চান। তবে চীন সহায়তা না করলে, একাই দেশটিকে মোকাবেলা করার হুমকি দিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু করলে, প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। এপি, সিএনএন, হাফিংটন পোস্ট।



 

Show all comments
  • Nure Alam Bablu ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:১৫ এএম says : 0
    Good decision
    Total Reply(0) Reply
  • Moklasur Rahman ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:১৫ এএম says : 0
    Go ahead
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Safowan ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:১৫ এএম says : 0
    Asole Anner kase kisoi nai, tobo valo lage apnar homki dekhe
    Total Reply(0) Reply
  • abul kalam azad ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:৪৩ পিএম says : 1
    মুলত এরা হুমকি ধমকি ছোরে অমুসলিম রাষ্ট্রগুলোর দিকে,আর আঘাত হানে যুদ্ধ করে বোমা ফেলে মুসলিম রাষ্ট্র গুলোতে।লক্ষ করুন ধমকি দিলো কোথায় আর বড় বোমা ফেলল কোথায়? ইরাক লিবিয়া আফগানিস্তানে যুদ্ধ করার সময় এত হুমকি কি দেয়া হয়েছিল?না সরাসরি আঘাত হানা হয়েছিল?এরা মুলত মুসলমানের দিরিষ্টি ফেরানোর জন্যই এসব করে।হুমকি দিবে ধ্বমকি দিবে অমুসলিম রাষ্ট্রে আর আঘাত হানবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে।এজন্যই রাসুল সাঃ বলেছিলেন। الكفر ملة واحدة অর্থঃ সমস্ত কাফের এক।
    Total Reply(0) Reply
  • এস, আনোয়ার ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৮:০০ পিএম says : 0
    খেলাটা ভালাই জমতো যদি আমেরিকা একলা আইতো। হাতির মতো গতর অইলে কি অইছে? মাগার যুদ্ধ খেলায় একলা যাওনের হিম্মৎ নাইক্কা। জাপানরে বোলাইয়া লইছে। ইরাকেও চৌদ্দ গুষ্টিরে ডাইক্কা আনছিলো। নাইলে সাদ্দাম্যা মরলেও বুশের কোমর ভাইঙ্গা ফালাইতো। আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া সবখানেইতো আমরিকার যুদ্ধ খেলার একই অবস্থা। দেখা যাক, কওনতো যায় না। নাকি বুইড়া ট্রাম্প হাতে ধইরা গিয়া ওই জোয়ান জং-উনের হাতে ভিয়েতনামের লাহান মাইর খাইয়া ফিইরা আসে। ক্ষ্যাপছেই যহন বুইড়া তয় চলুক না একটু খেলা।
    Total Reply(0) Reply
  • -কামাল উদ্দিন ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৩০ পিএম says : 0
    -যুক্তরাষ্ট্র-উ.কোরিয়ার যুদ্ধের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ববাসী!চারদিকে যুদ্ধের হুঙ্কার চলছে। পরাশক্তিগুলোর প্রায় সবাই যুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালো মেঘ ক্রমেই ঘনাচ্ছে। গত দু’দশক ধরে সিরিয়া ও আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে, সেই একই স্ট্র্যাটেজি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে নিতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েই মার্কিন প্রশাসনের চরিত্রের কুৎসিত রূপ-বর্বরতা সম্ভবত প্রথমবার স্পষ্টরূপে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। লক্ষ লক্ষ জাপানির জীবন ও সম্পদ নিয়ে সেদিন যে ছেলেখেলা করেছিল তারা তারপর থেকেই অন্যের সর্বনাশের বিনিময়ে নিজের দেশের অস্বাভাবিক ধনতান্ত্রিক স্বার্থের খাতিরে দেশে দেশে সে গায়ের জোর প্রয়োগ করে চরম অসভ্যতা প্রকাশ করে এসেছে। পূর্ব এশিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য ইউরোপ ও আফ্রিকার অসংখ্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সে তার নোংরা নাক গলিয়ে সেখানকার জনজীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। এভাবেই সে তার পারমাণবিক, রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্রের যথেষ্ট প্রয়োগ করে হাজার হাজার শিশু, বৃদ্ধসহ লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, অনেককেই চিরপঙ্গু করেছে, স্বাভাবিক জীবনধারাকে বিধ্বস্ত করেছে। নৈতিকতার কোনও প্রশ্ন তার বিকৃত বাসনা তৃপ্ত করতে তাকে অসভ্য আচরণে বিশ্ববাসী বাধা দিতে পারেনি।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২১ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:১০ পিএম says : 0
    আমেরিকার হাতে মার খাওয়া সেই জাপান এখনতো আবার আমেরিকার লেজ ধরে চলতে শুরু করেছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ