Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না : চীন

| প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কোরিয়া উপদ্বীপে মোতায়েনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে সরে আসার আহŸান জানিয়েছে চীন। এ যুদ্ধের ফলে আঞ্চলিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ই বলেন, আমরা সব পক্ষকেই মৌখিক-প্রায়োগিক সব ধরনের উস্কানি দেয়া কিংবা হুমকি দেয়া থেকে বিরত থাকার আহŸান জানাচ্ছি, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়। যুদ্ধাবস্থা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে ওয়াং বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হলে সব পক্ষই তাতে হারবে, কোনো পক্ষই জয়ী হবে না। যে কোনো মুহূর্তে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। উল্লেখ্য, কোরিয়া উপদ্বীপ অভিমুখে রয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রæপ। ওদিকে ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুত উত্তর কোরিয়া। চীন তার দোরগোড়ায় এমন সামরিক উত্তেজনা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়েছে। যুদ্ধ বাধলে উত্তর কোরিয়া ভেঙে পড়বে এবং চীন সীমান্তে সংকট সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা তাদের। তাই উত্তেজনা কমাতে চীন শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার এক টুইটে একাই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে চীনের উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, চীন সাহায্য করুক আর না করুক যুক্তরাষ্ট্র একাই উত্তর কোরিয়া সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল জাপান সাগরে একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে ৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার চীন সীমান্তের নিকটবর্তী তংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সম্ভবত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখÐে আঘাত হানতে সক্ষম। পারমাণবিক ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এবং জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ওই কার্যক্রম থেকে সরে আসেনি উত্তর কোরিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং রিয়ল মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগ্রাসী টুইটবার্তার মাধ্যমে সমস্যা তৈরি করছেন। মার্কিন প্রশাসন অসৎ উদ্দেশ্যে উপদ্বীপের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। এপি, দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ