Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দূষিত পানি ব্যবহার করে ২শ’ কোটি মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশগুলো বাজেট বাড়ানোর পরও বিশ্বে এখনো প্রায় ২শ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন থেকে বঞ্চিত। বিশ্বব্যাপী বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার সুফল শতভাগ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে এই মুহূর্তে একটি নাটকীয় উন্নয়ন দরকার- বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। একই সঙ্গে এও জানিয়েছে যে, সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি হচ্ছে এই ২০০ কোটি মানুষ মানব মল দ্বারা দূষিত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গত বৃহস্পতিবার বলছে, প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে এই দূষিত পানি পানে বাধ্য হয়ে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এই খাতে আরো ব্যাপক ভিত্তিক বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মারিয়া নিরা বলেন, বর্তমানে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ মল দ্বারা দূষিত উৎস থেকে পানি ব্যবহার করে। ফলে তারা কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড এবং পলিওতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকছে। তিনি আরো বলেন, দূষিত পানি পানের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এবং আশঙ্কার কথা হচ্ছে উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে এটি সবচেয়ে কম গুরুত্ব পাওয়া একটি রোগ। এমন আরো কিছু রোগের মধ্যে আছে : কৃমি, সিস্টোসোমিয়াসিস এবং ট্রাকোমা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য বিমোচন এবং নিরাপদ ও সুলফ পানি ও স্যানিটেশন প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাসহ মানবকল্যাণে এক উচ্চাভিলাসী অগ্রগতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জাতিসংঘ পানি বিভাগের পক্ষে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, এখনই বিনিয়োগের পরিমাণ ব্যাপকভাবে না বাড়ালে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাষ্ট্রগুলো অনেক দূর পিছিয়ে থাকবে। তবে একটা আশার কথা হচ্ছে, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে গত তিন বছরে বার্ষিক বাজেট বেড়েছে ৪.৯ শতাংশ। তারপরও ৮০ শতাংশ দেশ স্বীকার করেছে, জাতীয় পর্যায়ে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তাদের এই বাজেট কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। অপর এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অনেক উন্নয়নশীল দেশেরই বর্তমান জাতীয় লক্ষ্যমাত্রাগুলো নির্ধারণ করা হয় মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সেবা দিতে গেলে এটি যথেষ্ট নয়। এদিকে বিশ্বব্যাংক বলেছে, শুধু অবকাঠামো নির্মাণেই বরাদ্দ তিনগুণ বাড়িয়ে ১১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার করা উচিত। ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ছাড়াই এই অর্থ বিনিয়োগ দরকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রধান এবং জাতিসংঘের পানি বিভাগের প্রধান গাই রিডার বলেন, আমাদের যে সামর্থ্য আছে তাতে এটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থায় বর্ধিত বিনিয়োগ জনস্বাস্থ্য এবং উন্নয়নে যথার্থ ফল বয়ে আনতে পারে। এটি আমাদের কর্মসংস্থানও বাড়াবে। এএফপি।



 

Show all comments
  • Mohammad Nur Alam ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৩৯ পিএম says : 0
    Dear Sir Please accept it
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ