Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের হাজার দিনের সাফল্যগাঁথা

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অতিক্রম করেছে সাফল্যগাঁথা ১ হাজার দিন। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের বিমান পরিবহন শিল্পে যাত্রা শুরু করে একের পর এক অনন্য নজির স্থাপন করছে, অর্জন করেছে সাফল্যের মাইলফলক। বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক অ্যাভিয়েশন ব্যবসায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করেছিল আজ থেকে ঠিক ১ হাজার দিন পূর্বে ৭৬ আসন বিশিষ্ট দু’টি কানাডার বোম্বারডিয়ার তৈরি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ সিরিজের এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে। এর পর অল্প সময়ের মধ্যেই আরো একটি ৭৮ আসনের ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট বিমান বহরে যোগ করে ইউএস-বাংলা। শুরু থেকেই নিজস্ব ক্যাটারিং, নিজস্ব টেইলারিংসহ ইন-হাউজ ট্রেনিং সুবিধা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইন-ফ্লাইট সার্ভিস, যা যাত্রী সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সকল চালু বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে সারা দেশের জনগণকে স্বল্পতম সময়ে আকাশপথের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে সুদৃঢ়।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহী রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সাফল্যে কথা বিবেচনা করে সরকার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়।
যার ফলশ্রæতিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে গত ১৫ মে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যেমে আন্তর্জাতিক পরিমÐলে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে কাঠমান্ডু ছাড়াও কলকাতা, মাস্কাট, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। আগামীকাল ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা এবং ৩রা মে তারিখে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ১৬৪ আসনের তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করেছে। যাতে রয়েছে আরামদায়ক ৮টি বিজনেস ক্লাস ও ১৫৬টি ইকোনমি ক্লাসের আসন ব্যবস্থা। রয়েছে নিজস্ব ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ‘বøু স্কাই’। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সকল এয়ারক্রাফট সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত। বর্তমানে সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ২০০টির অধিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। গত ১০০০ দিনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রায় চব্বিশ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে বাংলাদেশে বিমান পরিবহনে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর আবহাওয়াজনিত কারণ ছাড়া কোনো ধরনের ফ্লাইট বাতিল করার নজির নেই। এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ৭শতাংশ অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের। অভ্যন্তরীণ রুটে মোট যাত্রী সংখ্যার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন করছে ইউএস-বাংলা।
যাত্রীসেবার অনন্য নজির স্থাপন করায় স্বীকৃতিস্বরূপ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে গত তিন বছর যাবত সেরা এয়ারলাইন্সের মুকুট অর্জন করতে পেরেছে। দেশে-বিদেশে বর্তমানে প্রায় ১২শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে। নিয়মিত ট্যাক্স-সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে চলেছে। সাথে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে করছে আরো সুদৃঢ়।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর ১০০০তম দিনের চলার পথে এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সকল ট্রাভেল এজেন্টর ব্যবসাকেও করেছে সুসংহত।
বাংলাদেশসহ বিশ্বেও বিভিন্ন দেশে প্রায় দু’হাজার ট্রাভেল এজেন্ট রয়েছে ইউএস-বাংলার সাথে যা সময়ের হিসেবে সত্যিই অকল্পনীয়। সাথে রয়েছে বাংলাদেশের স্বনামধণ্য সকল কর্পোরেট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ। ইউএস-বাংলার টিকেট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে অন-লাইন বুকিং সুবিধা। হোম ডেলিভারি সুবিধাও রয়েছে। সারাদেশে নিজস্ব ৩০টি সেলসঅফিস। এছাড়া কাঠমান্ডু, কলকাতা, মাস্কাট, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দোহা, কানাডা, নিউইয়র্ক এ নিজস্ব সেলস্ অফিস। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে স্কাইস্টার প্যাকেজ। যার মাধ্যমে শুধু টিকেটেই সুবিধা পাবে না বরং যাত্রীরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ সুবিধাও পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যাত্রীদেরকে বেশ কয়েকটি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অ্যাভিয়েশন শিল্পে। উল্লেখযোগ্য সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক রুটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য রয়েছে পিক-ড্রপ সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের পর ১০ মিনিটে ল্যাগেজ ডেলিভারি, ওয়েজ আর্নার্সদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০শতাংশ মূল্যছাড়, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ও গলফারদের রয়েছে ১০শতাংশ মূল্যছাড়সহ আরো নানাবিধ যাত্রীসুবিধা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রীই পরিবহন করে না সাথে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গোও পরিবহন করে থাকে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খেলাধুলার উন্নয়নের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ১০০০তম দিন অতিক্রম করা উপলক্ষে, ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সাফল্যে ভরা ১০০০তম দিন অতিক্রম করার সাথে যেসকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।’-প্রেস বিজ্ঞপ্তি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ