মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনডিকলাব ডেস্ক : প্রতিবছরের মতো মৃত্যুদন্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। ২০১৫ সালের তুলনায় যা ৩৭ শতাংশ কম। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এক হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এর বিপরীতে গত বছর অন্তত এক হাজার ৩২ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এর পড়েই রয়েছে সউদি আরব ও ইরাক। তবে ইরান ও পাকিস্তান মৃত্যুদন্ড কার্যকরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে স্থান করে নিলেও মূলত এ দু’টি দেশে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী সংখ্যার ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানে ৩২৬টি মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হয়। গত বছর তা ৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮৭টিতে। ২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের নাম শীর্ষ পাঁচের তালিকায় স্থান পায়নি। ২০১৫ সালে ইরানে ৯৭৭ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। গত বছর ৫৬৭ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব মৃত্যুদন্ডের বেশিরভাগই দেয়া হয় মাদক চোরাচালানির অভিযোগে। ২০১৪ সালে সারা বিশ্বে মোট ২ হাজার ৪৬৬টি এবং ২০১৩ সালে ১ হাজার ৯২৫ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে বেলারুশ ও ফিলিস্তিনে কোনো মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়নি। তবে নাইজেরিয়া ও বতসোয়ানায় ২০১৩ সালের পর প্রথম মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় গত বছর। রয়টার্স।
রয়টার্সের অপর এক খবরে বলা হয়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণ যাদব নামের সাবেক এক ভারতীয় নৌ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এ রায়ের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুলভূষণ যাদবকে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে। ভারত এতে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান। কুলভূষণ যাদবকে গুপ্তচরবৃত্তি এবং পাকিস্তানে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলুচিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার পরিকল্পনা, সমন্বয় ও বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাকে নিয়োগ দিয়েছে বলে তিনি (কুলভূষণ সুধীর যাদব) স্বীকার করেছেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করাই এর লক্ষ্য ছিল। যাদব গ্রেফতার হওয়ার পরও ইসলামাবাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল যাতে যাদবকে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে দেখা যায়। তবে দিল্লি ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তিকে ভারতীয় বলে স্বীকার করলেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শালে যাদবের মৃত্যুদন্ডাদেশ গৃহীত হয়েছে এবং পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ওই রায় অনুমোদন করেছেন। তবে কবে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে সে সম্পর্কে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। ভারত এ দন্ডাদেশের নিন্দা জানিয়েছে এবং যাদবের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াকে উদ্ভট আখ্যা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শ্রী যাদব গত বছর ইরান থেকে অপহৃত হয়েছিলেন এবং এরপর পাকিস্তানে তার উপস্থিতির বিষয়টি কখনোই বিশ্বাসযোগ্যভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।