Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসনের রাশিয়া সফর বাতিল

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কেন্দ্র করে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দিয়েছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে মার্কিন মিত্র ব্রিটেন। পূর্বনির্ধারিত মস্কো সফর বাতিল করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। সিরিয়ায় বেসামরিক ব্যক্তিদের মৃত্যুর জন্য রুশ প্রশাসনকে দায়ী করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফেলন। জনসন বলেন, ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সিরিয়া ইস্যুতে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য রাশিয়াকে সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধ কবলিত সিরিয়া থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহŸান জানান তিনি। আজ (সোমবার) রাষ্ট্রীয় সফরে বরিস জনসনের রাশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি সফর বাতিলের কথা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সার্বিক পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি অস্ত্রবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জন করাটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ। তবে কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন আসছে ১০ ও ১১ এপ্রিল রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। এসময় তিনি বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির ৭টি দেশের জোট জি-৭ এর বৈঠকে অংশ নেবেন। বরিস জনসন জানান, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সফরকালে টিলারসনই ইঙ্গ-মার্কিন সমন্বিত অবস্থান সম্পর্কে রাশিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দেবেন। এদিকে সানডে টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফেলন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যার অভিযোগ আনেন। তার মতে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে দেশটির বেসামরিক মানুষদের হত্যা করছেন। আর রাশিয়া পেছন থেকে তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাই রুশ প্রশাসন কোনো ভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। এ রাসায়নিক হামলাকে বর্বরোচিত, অমানবিক ও বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যৌক্তিক জবাব বলে তার মত। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে পর পর ৫৯টি অত্যাধুনিক টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ৫৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হোমস প্রদেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত শায়রাত বিমান ঘাঁটি। মারা যান সিরিয়ার জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাসহ ৬ জন। এ হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি’ বলে যুক্তি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের এ উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও সৌদি আরব। কঠোর নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরান। তুরস্ক যুদ্ধ কবলিত সিরিয়ায় দ্রæত নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ