রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের সখিপুরে যাদবপুর ইউনিয়ন ভেঙে ২টি ইউনিয়ন করার পর থেকেই নির্বাচন হচ্ছে না। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ইউনিয়নবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাদবপুর ইউনিয়নকে ভেঙে প্রথমে যাদবপুর ও কালমেঘা নামে দুটি ইউনিয়ন করা হয়। বহুরিয়া গ্রামের জুয়েল নামকরণ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করলে কালমেঘা ইউনিয়নের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে বহুরিয়া ইউনিয়ন নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে জুয়েল সীমানা নির্ধারণ দেখিয়ে হাইকোর্টে মামলা করলে এ ইউনিয়ন দুটির নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এমনকি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইউপি নির্বাচন ছয় ধাপে করার তফশিল ঘোষণা করলেও যাদবপুর ও বহুরিয়া ইউনিয়নের নাম নেই। যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাবুল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা এবং মামলার বাদী জুয়েল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা। সঙ্গত কারণে জুয়েলকে বাদী করে হাইকোর্টে মামলা করার সমস্ত খরচ চেয়ারম্যান দিচ্ছে কারণ নির্বাচন বিহীন অবস্থায় বজলুর রহমান বাবুল দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকতে পারবে। এদিকে টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. জোয়াহেরুল ইসলামের ভাই সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান তার দল বল নিয়ে ইউনিয়ন নির্বাচন সংগ্রাম পরিষদ নামে যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাবুলসহ ১৩ সদস্যের পরিষদের অপসারণ ও ওই ইউনিয়নে দ্রুত নির্বাচন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, কুশপুত্তলিকাদাহ, আলটিমেটাম ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। অথচ মামলা সংক্রান্ত জটিলতা কিভাবে নিরসন করা যায় সে দিকে ভ্রুক্ষেপও করছে না। এ আন্দোলনের সাথে রয়েছে নির্বাচন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান, বহুরিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি নুরে আলম মুক্তা, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেলিম প্রমুখ। ‘যাদবপুর’ ও নবগঠিত ‘বহুরিয়া’ ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারগণ ঘোষিত তফশিলে নির্বাচন দাবি করেছেন। নবগঠিত বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নির্বাচন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ভেন্ডার মো. রেজাউল করিম ও সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদী চেয়ারম্যান বাবুল মামলা করিয়ে একযুগ ক্ষমতায় থেকে দুইটি ইউনিয়নের ভোটারদের অধিকার খর্ব করেছেন-শুধু নিজে লাভবান হওয়ার জন্য। বর্তমান চেয়্যারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল বলেন, ‘মামলার বিষয়ে আমার কোনো হাত নেই। মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়নবাসী যে পদক্ষেপ নিবে আমি তার সাথে থাকব এবং আমি নির্বাচনের জন্য সব সময় প্রস্তুত আছি। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টে আপিল খারিজ হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলেই আইন অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি অপসারণ ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত. বিধিমালা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু বৃহত্তর এ যাদবপুর ইউনিয়নকে দুইটি ইউনিয়নে বিভক্তিকরণ করে নামকরণ ও সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জটিলতা মামলায় গড়ায়। ফলে পাঁচ বছর মেয়াদী নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন ১৪ বছর ধরে। যাদবপুর ইউনিয়নে সর্বশেষ ২০০২ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ এ বছরের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের ২০১১ সালের আদেশ বৃহত্তর যাদবপুরকে ভেঙে নবগঠিত ‘বহুরিয়া’ ও ‘যাদবপুর’ ইউনিয়নের নাম ও সীমানা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। এদিকে এ বছরের ইউপি নির্বাচনে ৫ম ধাপে সখিপুরে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৮ মে ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এতে যাদবপুর ও বহুরিয়া ইউনিয়নের নাম নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।