Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা

সরকারি স্থাপনায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৬ আহত ৭

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সিরিয়ার বিরোধীপক্ষসহ সমর্থন জানিয়েছে সউদি আরব ও তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নি প্রধান দেশগুলো, বিরোধিতা ইরান ও সিরিয়া সরকারের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল হামলার খবর পাওয়া গেছে। সা¤প্রতিক রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকে দায়ী করে গতকাল শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো খবরটি জানিয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার বিরোধী গ্রæপগুলো সরকার নিয়ন্ত্রিত বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেছে, ওয়াশিংটনের সরাসরি সামরিক সম্পৃক্ততা সিরিয়ায় দীর্ঘ দিনের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর সুযোগ করে দিতে পারে। সিরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই যুদ্ধকে সমর্থন জানিয়েছে সউদি আরবের নেতৃত্বে তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল সুন্নি প্রধান দেশ এবং এর বিরোধিতা করেছে ইরান ও সিরিয়ার সরকার।
শুক্রবার হোমস প্রদেশের সিরাতে একটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যম। এতে ৬ জন নিহত ও ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রদেশটির গভর্নর। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হামলায় সিনিয়র এক সেনা কর্মকর্তাসহ এ হামলায় ৪জন নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার জাতীয় জোটের যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি নাজিব ঘাতবিয়ান আল জাজিরাকে বলেন, আমরা এ বিমান হামলাকে স্বাগত জানাই। এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলেও তারা ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমেও এ হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মার্কিন মিসাইল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় আঘাত করেছে। আর এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মঙ্গলবার যে ঘাঁটি থেকে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে সেখানেই হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, (৪এপ্রিল) মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল ইদলিবে ওই গ্যাস হামলা সংঘটিত হয়। আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধনীতি অস্বীকার করে ওই হামলায় আবারও সিরিয়ায় রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের আলামত মেলে। হামলায় ৮৬ জন নিহত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলার অভিযোগ ওঠার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারী বাহিনী ও রাশিয়াকে দুষলেও এই দাবি অস্বীকার করেছে সিরীয় সেনাসূত্র ও রুশ কর্তৃপক্ষ। হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে তোপের মুখে পড়ে রাশিয়া। ওই হামলায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দায়ী করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, বিদ্রোহীরা ওই রাসায়নিক গ্যাস মজুত করে রেখেছিল। সিরীয় বিমান হামলায় সেই গুদাম আক্রান্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে রাশিয়ার এমন দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্য দেশগুলো। তারা আসাদ›কে থামাতে রাশিয়ার প্রতি আহŸান জানায়।
সিরিয়ার ওই সম্ভাব্য রাসায়নিক হামলার জবাব দেয়ার দাবি করে দেশটির স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার টমাহক ক্রুজ মিসাইল হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। শায়রাত বিমানঘাঁটির বিমান, শেল্টার, অস্ত্র সরবরাহ, জ্বালানি ভান্ডার এবং রাডারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ার বিমান ও সাপোর্ট ইনফ্রাসট্রাকচার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ