Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ জানুয়ারীর ভূমিকার জন্য দিল্লীকে ক্ষমা চাইতে হবে : প্রধান

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘প্রতিরক্ষা চুক্তির নামে দিল্লীর গোলামী দেশবাসী মানবে না’ অভিমত ব্যক্ত করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য দিল্লীকে ক্ষমা চাওয়ার আহŸান জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শরীক দল জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
তিনি বলেছেন, ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে দিল্লী অন্য দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করেছিল। কংগ্রেসের সেই ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারণে ভারতের জনগণ দলটিকে নর্দমায় নিক্ষেপ করেছে। এখন দিল্লীতে ওই ভূমিকার জন্য ঢাকার কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে। তিনি আরো বলেন, পিÐি থেকে মুুক্ত হয়েছি দিল্লীর শিকল পড়তে নয়। দেশ হিসেবে আমরা ছোট হতে পারি কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা ছোট নই। মুসলিম অধ্যুষিত ভাটি বাংলার মানুষ মোঘল মানে নাই, ব্রিটিশ মানে নাই, পাকিস্তান মানে নাই। জাতীয় বীর ঈশা খাঁ, ফকির মজনু শাহ, মওলানা ভাসানী শেষ দিন পর্যন্ত লড়েছেন। কিন্তু দাসত্ব মেনে নেন নাই। ৭৫’র ৭ নভেম্বর শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে এই অঞ্চলের স্বাধীন চেতা মানুষ দিল্লীর গোলামির শেকল ভেঙে ফেলে। সুতরাং হুঁশিয়ার হয়ে যাও। জীবন থাকতে এই বীরের জাতি কাউয়ার শাসন মেনে নেবে না। ‘সামরিক চুক্তি গোলামীর চুক্তি- রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ এই আওয়াজ তুলে গতকাল জাগপার ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, মাস্টার এম.এ মান্নান, আসাদুর রহমান খান, রোকনউদ্দিন হাজারী, প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির, গোলাম মোস্তফা কামাল, বেলায়েত হোসেন মোড়ল, যুব জাগপার সভাপতি ফায়জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদউদ্দিন, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রুবেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বলেন, দেশ আমার-মাটি আমার। বাংলাদেশের মাটি ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিল্লীর স্বার্থে অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা চলবে না। কথাবার্তা পরিষ্কার। সামরিক চুক্তির নামে হিন্দুস্থানের গোলামী দেশবাসী মানবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায় এজন্য দেশকে নেতা ও সেনাশূন্য করার চক্রান্ত চলছে। আর এজন্যই ১/১১’র ষড়যন্ত্র। ৫ জানুয়ারি সুজাতা সিং মার্কা নির্বাচন। নেতা শূন্য করতে জেল-জুলুম, গুম-খুন চলছে। পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় এখন সামরিক চুক্তির বাহানায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করার খেলা শুরু হয়েছে। লাখো শহীদের বাংলাদেশ রক্ষায় এই চক্রান্ত রুখতেই হবে। তিনি আরো বলেন, শুধু তিস্তা চুক্তিতে পানির সমস্যা সমাধান হবে না। ফারাক্কাসহ উজানের সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে হবে। ৭১’র পর আমার দেশের লুণ্ঠিত সমরাস্ত্র ও সম্পদ ফেরত দিতে হবে।
আইপিইউ সম্মেলনে ৫ দফা কর্মসূচি সম্বলিত ঢাকা ঘোষণা প্রথমেই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ বন্ধের আহŸান জানানো হয়েছে। এখন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশের কাছে ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে।



 

Show all comments
  • sumon ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:০৪ এএম says : 0
    no defence deal with india. sk hasina do not sell the country
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ