Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতিসংঘ ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র একাই পদক্ষেপ নেবে

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় শতাধিক মানুষ নিহতের পর দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিল যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, সিরিয়া ইস্যুতে সবাইকে নিয়ে জাতিসংঘ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র একাই পদক্ষেপ নেবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি তিনি। হ্যালি আশা প্রকাশ করেন, হতাহতদের ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ চ‚ড়ান্ত কোনো পদক্ষেপ নেবে। গত মঙ্গলবারের রাসায়নিক হামলা যদি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার চালিয়ে থাকে তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। ট্রাম্পের আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ায় রাজনৈতিক উপায়ে বাশার আল-আসাদের ক্ষমতার অবসান চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ করেননি। এখন ট্রাম্প কী করবেন তাই দেখার বিষয়।
এছাড়াও সিরিয়ায় মঙ্গলবারের রাসায়নিক হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ সাত বছরে পা দিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, এই যুদ্ধের দায় এখন তার ঘাড়ে বর্তায়। যদিও তা শুরু হয়েছিল তার পূর্বসূরি ওবামার আমলে। ওবামা তা শেষ করে যেতে পারেননি। রাসায়নিক হামলা নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাসায়নিক হামলায় শিশু, নারীসহ অনেক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা অনেক আইন অতিক্রম করেছে।
ট্রাম্প বলেন, যখন নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা হয়, ছোট ছোট শিশুকে হত্যা করা হয়, তা অনেক অনেক লাইন অতিক্রম করে যায়। রেড লাইনসহ সব লাইন অতিক্রম করেছে এ রাসায়নিক হামলা। সিরিয়া গৃহযুদ্ধের দায় নিলেও তা শেষ করতে ওবামার মতো ট্রাম্পও নির্দিষ্ট কোনো উপায় বলতে পারেননি। তবে হঠাৎ করে সিরিয়ার ওপর একপক্ষীয় সামরিক হস্তক্ষেপ বিশ্বশান্তির জন্য ভয়ংকর হতে পারে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলবো, গত মঙ্গলবার যা হয়েছে তা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। এবং আপনাদের বলতে চাই, সিরিয়া ও আসাদের বিষয়ে আমার মনোভাব অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে, ইতোমধ্যেই এটি ঘটেছে। এর আগে এক বৈঠকের সময় ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি সিরিয়ার বিষয়ে নতুন কোনো নীতি গ্রহণ করছেন কিনা, ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন, দেখতে পাবেন।
প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ডাক দেয়ার সময় হয়েছে কীনা এবং দেশটির আকাশ সীমায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তোলা হবে কীনা এমন প্রশ্ন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে। প্রেন্স জবাবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ফক্স নিউজকে বলেছেন, আমাকে পরিষ্কার করতে দিন, সব অপশনই সামনে আছে। রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরই দায়ী করেছে রাশিয়া, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মাত্র কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, আসাদকে ক্ষমতা থেকে হটানোর বিষয়টিতে আর জোর দিচ্ছে না তারা। কিন্তু ট্রাম্পের মন্তব্যে ওয়াশিংটনের সে অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত আছে। সত্যিই এরকম কিছু হলে তা প্রাথমিক উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত সত্তে¡ও ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ক্রেমলিনের বিরোধের সূচনা করতে পারে। ডন নিউজ, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Md.Nasir Uddin ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:০৪ এএম says : 0
    আজ যুক্তরাষ্টের সিরিয়ার শিশুদের ব্যপারে খুব মায়া কান্না।কিছু দিন আগে যুক্তরাষ্টের বিমান হামলায় সিরিয়ায় ২২১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে,তার দায় কি যুক্তরাষ্ট স্বীকার করেছে,নিশ্চয় যুক্তরাষ্ট মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে তার জন্য যুক্তরাষ্টের আন্তজার্তিক আাইনে বিচার হওয়া উচিত। আর এখন কে বারাসায়নিক হামলা করে মানুষ খুন করলো তার সুষ্ঠ তদন্ত না করে উল্টা প্রেসিডেন্ট আাসাদকে দোষারোপ করে ক্ষেপনাশ্র মেরে সিরিয়ার নিরীহ জনগনকে হত্যা করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ