ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের খান শেইখুন শহরে সা¤প্রতিক রাসায়নিক হামলার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে দায়ী করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। রাসায়নিক হামলার পর পশ্চিমা বিশ্ব আসাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে আসাদকে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন দ্বন্দ্বে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদ সরকারের সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে। মঙ্গলবার খান শেইখুনে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলার পর রাসায়নিক গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সিরীয় বিমান থেকে ফেলা সারিন নার্ভ গ্যাসের কারণে এ মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে বিকল্প ব্যাখ্যা হাজির করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার মতে, সরকারি বাহিনীর বোমা বিদ্রোহীদের কোনো রাসায়নিক অস্ত্রাগারে আঘাত করায় বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে রাশিয়ার এ ব্যাখ্যাকে মিথ্যা বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহী দল ফ্রি ইদলিব আর্মির কমান্ডার হাসান হাজ আলি। তিনি জানান, সবাই সিরীয় বিমান থেকে গ্যাস বোমা ফেলতে দেখেছে। তিনি আরো জানান, এখানে কোনো সামরিক ঘাঁটি বা অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র নেই, আর এ তথ্য এই অঞ্চলের সব বেসামরিক নাগরিক জানে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে তাদের কারোরই এ ধরনের কিছু তৈরি করার যোগ্যতা নেই। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথমবার আসাদকে সারিন গ্যাস ব্যবহারের জন্য দায়ী করে ওয়াশিংটন। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে দামেস্কের উপশহরে কয়েকশ মানুষ নিহত হন। সে সময় ওয়াশিংটন জানায়, আসাদ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষিত রেড লাইন অতিক্রম করেছে। এ ঘটনার পর আসাদকে উচ্ছেদে ব্যাপক বিমান হামলার হুমকি দিয়েছিলেন ওবামা। পরবর্তীতে আসাদ মস্কোর মধ্যস্থতায় রাসায়নিক অস্ত্র পরিত্যাগে সম্মত হলে অভিযান পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন ওবামা। তবে ওবামার এ সিদ্ধান্ত তার দুর্বলতার পরিচয় বলে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন ট্রাম্প। রয়টার্স।