Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৪.৬ ভাগ বিষণ্ণতায় ভুগছে

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ৪ দশমিক ৬ ভাগ বিষণ্ণতায় ভুগছে। যে কোনো বয়সে এমনকি শিশুদের মাঝেও এ সমস্যা দেখে দিতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৩০-৪০ বছর বয়সে বিষণœতার লক্ষণ প্রথম দেখা যায়। এছাড়া ১৫-১৮ বছর ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মাঝে এর ঝুঁকি বেশি। আগামীকাল শুক্রবার ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিষণ্ণতার বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা রয়েছে। এ জন্য ধৈর্য্য সহকারে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। এক্ষেত্রে ওষুধ ও সাইকো থেরাপি দু’ই প্রয়োজন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী রোগ, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, একাকিত্ব, পারিবারিক ও সম্পর্কের সমস্যা, গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়, বিবাহ বিচ্ছেদ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, প্রবাস জীবন, অভিবাসন, মাদকসেবন ইত্যাদি কারণেও এটি হতে পারে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত ও সহজলভ্য সেবা প্রদান নিশ্চিতের লক্ষ্যে দেশে একটি কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যখাতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধির বিস্তার, সার্বিক প্রজনন হার ও অনাকাক্সিক্ষত প্রজনন হার হ্রাসকরণ এবং মহিলা ও পুরুষের গড় আয়ু, প্রথম সন্তান জন্মের সময় মায়ের বয়স, পুষ্টির মান ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিকরণ। এ সকল উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যখাতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম জানান, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়া উন্নত ও বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির জন্য ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২য় ইউনিট, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্স, ঢাকার তেজগাঁওয়ে নাক-কান-গলা বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ ও চালু করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ